দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari), রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Rajib Banerjee) পর এবার সিঙ্গুরের বিধায়ক তথা সকলের প্রিয় মাস্টারমশাই রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের নামে সিঙ্গুরে লাগানো হল ব্যানার। আর সেই ব্যানারকে কেন্দ্র করে সোমবার সকাল থেকেই রাজনৈতিক মহলে শোরগোল। ব্যানারে বিধায়কের ছবি আর তাতে লেখা ‘আমরা গর্বিত’, ‘আমরা স্যারের অনুগামী’। তবে পার্থক্য একটাই শুভেন্দু, রাজীবের নামে যাঁরা পোস্টার লাগিয়েছিলেন তাঁদের কেউই সাহসের সাথে দাবি করেননি সেকথা। তবে এক্ষেত্রে বিধায়কের অনুগামীরা রীতিমতো জোরের সাথে দাবি করেছেন, তাঁরা ‘স্যারের অনুগামী’। তাঁরাই এই ব্যানার লাগিয়েছেন।
সোমবার সকাল হতেই দেখা যায় সিঙ্গুর আনন্দনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনে, আনন্দনগর পার্টি অফিসে এবং পঞ্চায়েতে যাওয়ার রাস্তায় রবীনবাবুর অনুগামীদের লাগানো ব্যানার। আনন্দনগর আঞ্চলিক তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির অফিসিয়াল পেজেও অনুগামীরা এই ছবি পোস্ট করায় রীতিমতো বিতর্ক দেখা দিয়েছে। তবে বিধায়কের অনুগামীরা জোরের সাথে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) যেমন সততার প্রতীক সেরকম তাদের বিধায়ক প্রিয় মাস্টারমশাই সততার প্রতীক। তাঁদের বক্তব্য, স্যারকে নানারকম রাজনৈতিক কার্যকলাপ থেকে দূরে সরিয়ে দিয়ে দুর্নীতিপরায়ণদের দলের বিভিন্ন পদে নিয়ে আসা হচ্ছে। তারই প্রতিবাদ জানাতে তারা এই ব্যানার লাগিয়েছেন। দাবি, তাঁদের স্যারের সঙ্গে যে অন্যায় করা হচ্ছে সেই বার্তা ব্যানারের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বার্তা পৌঁছে দিতে চাইছেন।
[আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়ত্তে থাকা রাস্তা ফিরিয়ে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী, জোরাল রাজ্য-বিশ্বভারতী সংঘাত]
এই বিষয়ে রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য (Rabindranath Bhattacharya) বলেন, “একজন বিধায়কের অনুগামী হিসেবে কেউ ব্যানার লাগালে তাতে দোষের কিছু নেই। সে তো আর সরকারের বা দলের বিরুদ্ধে বলছে না।” তিনি আরও জানান, “সিঙ্গুরের একটা বুথেও তার পরাজয় নেই। তাই অনুগামী থাকাটা স্বাভাবিক। তবে তার সঙ্গে দলবদলের কোনো প্রশ্ন নেই বলে উড়িয়ে দেন রবীন্দ্রনাথবাবু। তাঁর কথায়, “আমি দলের অনুগত হয়ে এখনও কাজ করছি।”