সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাদক পাচারের মামলায় জড়িয়ে গ্রেপ্তারির ভয় দেখিয়ে ২৭ বছরের এক যুবতীকে প্রতারণা ও যৌন নিগ্রহ! চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে গুজরাটের আহমেদাবাদে। নিজেকে সিবিআই অফিসার পরিচয় দিয়ে যুবতীকে গ্রেপ্তারের ভয় দেখিয়ে তাঁর কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হল। পাশাপাশি ভিডিও কলে তাঁকে পোশাক খুলতে বাধ্য করল প্রতারকরা।
আহমেদাবাদের নারায়ণপুরা থানা এলাকার বাসিন্দা প্রতারিত ওই যুবতীর নাম হিমালি পান্ডিয়া। গত ১৩ অক্টোবর এক ব্যক্তি তাঁকে ফোন করে নিজেকে কুরিয়ার সংস্থার কর্মী বলে পরিচয় দেন। জানান, থাইল্যান্ডের ঠিকানায় তাঁর নামে একটি পার্সেল গিয়েছে। যেখানে ল্যাপটপ, মোবাইলের পাশাপাশি রয়েছে ১৫০ গ্রাম মেফেড্রোন নামের নিষিদ্ধ মাদক। এই ঘটনায় সাইবার ক্রাইমে যোগাযোগ করারও পরামর্শ দেওয়া হয় তাঁকে। এমন ফোন পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই বিভ্রান্ত হয়ে যান যুবতী। এরই মাঝে তাঁর কাছে একতি হোয়াটসঅ্যাপ কল আসে। দিল্লির সাইবার ক্রাইম অফিসার বলে পরিচয় দেন ওই ব্যক্তি। এর পর পরই সিবিআইয়ের নাম করে একটি চিঠিও পান হিমালি। যেখানে মাদক মামলায় তদন্তে সহযোগিতার জন্য ভিডিও কলে যোগ দিতে বলা হয় যুবতীকে।
সেই মতো ভিডিও কলে যোগ দিলে ফোনের ওপারে এক ব্যক্তি নিজেকে সিবিআই অফিসার বলে পরিচয় দেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন এক মহিলাও। যদিও তাঁদের কারও মুখ দেখা যায়নি। ভিডিও কলে তাঁকে ডিজিটাল অ্যারেস্টের কথা বলা হয়। শারীরিক চিহ্ন স্বরূপ জন্ম দাগ দেখানোর জন্য ভিডিও কলে পোশাক খুলতে বাধ্য করা হয় যুবতীকে। এর পর মামলা মিটমাট করে নেওয়ার নামে ৪.৯২ লক্ষ টাকা তাঁর কাছ থেকে হাতিয়ে নেয় প্রতারকরা।
এই ঘটনার কথা যুবতী তাঁর এক প্রতিবেশীকে জানালে, সেই ব্যক্তি কুরিয়ার সংস্থার কর্মী নামে পরিচয় দেওয়া অভিযুক্তকে ফোন করেন। প্রতারক অবশ্য দ্বিধা না করে সেই ফোন ধরেন এবং জানিয়ে দেন, তাঁরা পরিকল্পিত ভাবে যুবতীকে প্রতারণা রয়েছেন। এর পর আর ওই নম্বরের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। এই ঘটনার পর পুলিশের দ্বারস্থ হন নির্যাতিতা তরুণী। অজ্ঞাত পরিচয় অপরাধীদের খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।