স্টাফ রিপোর্টার: বিপণন, প্রচারে পিছিয়ে থাকলেও অন্য দিকে আইএসএলকে টেক্কা দিল আই লিগ। গোটা মরশুমের খসড়া সূচি ক্লাবগুলিকে পাঠাল সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন।
[ছন্নছাড়া ফুটবল, ঘরের মাঠে দ্বিতীয় ম্যাচেও বিশ্রী হার এটিকের]
আইএসএল যেখানে আপাতত শুধু প্রথম লিগের সূচি ঘোষণা করেছে, সেখানে আই লিগের গোটা মরশুমের সূচি প্রকাশ হল এদিন। বেশিরভাগ ম্যাচই সপ্তাহের শেষে। কোয়েম্বাটোরে প্রথম ম্যাচে বিকেল পাঁচটায় চেন্নাই সিটি এফসি নামছে অ্যারোজের বিরুদ্ধে। পরদিন দুপুরে নেরোকার বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে আই লিগ অভিযান শুরু করছে ইস্টবেঙ্গল। সেদিনই বিকেলে অ্যাওয়ে ম্যাচে গোকুলাম এফসির বিরুদ্ধে খেলবে মোহনবাগান। দুই প্রধানের মধ্যে কলকাতায় প্রথম খেলবে মোহনবাগান। ৭ নভেম্বর বিকেলে প্রতিপক্ষ আইজল এফসি। ১৩ নভেম্বর বিকেলে ইস্টবেঙ্গলের প্রথম হোম ম্যাচ চেন্নাই সিটি এফসির বিরুদ্ধে।
এবার আই লিগে প্রথম বড় ম্যাচের আয়োজক ইস্টবেঙ্গল। ১৬ ডিসেম্বর বিকেলে মহা ম্যাচ। সাত সপ্তাহের মাথায় ফিরতি বড় ম্যাচ। মোহনবাগানের আয়োজনে ম্যাচটি ২৭ জানুয়ারি বিকেলে। আই লিগে এবার নেই কোনও বিরতি। ২৬ অক্টোবর শুরু হয়ে মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে শেষ হচ্ছে আই লিগ। শেষ রাউন্ডের আগের রাউন্ড ১ থেকে ৩ মার্চ। ফলে সাড়ে চার মাসেরও কম সময়ে হবে ১১০টি ম্যাচ। ১৯ সপ্তাহে ২০টি করে ম্যাচ খেলতে হবে দলগুলিকে। টানা খেলার ফলে ফুটবলাররা কীভাবে চোট এড়িয়ে থাকবেন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
[নির্বাচনের আগেই টুটু-অঞ্জনের মধ্যে সৌহার্দ্যের বার্তা]
এদিকে আই লিগের ক্রীড়াসূচি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছে মোহনবাগান। মোহনবাগানের প্রথম ম্যাচ পড়েছে ২৭ অক্টোবর। প্রতিপক্ষ গোকুলাম ফুটবল ক্লাব। খেলা হবে কোঝিকোড়ে। অর্থাৎ শংকরলাল চক্রবর্তী এন্ড কোংকে খেলতে যেতে হবে কেরলে। অসুবিধে হবে না? “কেন হবে? একবার তো খেলতে যেতে হতই। শুরুতে খেলতে গেলে সমস্যা হবে কেন? ওদের সঙ্গে গতবছর আমরা লিগের শেষ ম্যাচ খেলেছিলাম। খেলাটা হয়েছিল কেরলে। এক গোলে এগিয়ে থেকেও পরে ম্যাচটা ড্র হয়ে যায়। গতবার যে দলের সঙ্গে খেলেছিলাম শেষ ম্যাচ। এবার সেই দলের সঙ্গে শুরুতেই নামতে হচ্ছে। পার্থক্য শুধু এই জায়গায়। এছাড়া ঠিকই আছে।” ক্রীড়াসূচি দেখে একটানা কথাগুলো বললেন শংকরলাল চক্রবর্তী।
এদিকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় টুটু বোস সচিব হয়ে গিয়েছেন। যদিও সরকারিভাবে ঘোষণা হয়নি। আজ বেঙ্গল ক্লাবে নির্বাচক কমিটির বসার কথা। নাম প্রত্যাহার করার পর আজ চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করতে পারেন নির্বাচকরা। যদি তালিকা প্রকাশ করেন তাহলে সচিব হিসাবে টুটু বোসের নাম সরকারীভাবে নির্বাচক কমিটি জানিয়ে দিতে পারে। তবে নির্বাচক কমিটি জানাক কিংবা না জানাক, টিম ম্যানেজমেন্ট দারুন স্বস্তিতে। তারা মনে করছে, অর্থের ব্যাপারে আর কোনও সমস্যা থাকবে না।