স্টাফ রিপোর্টার: কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রক এবং স্পোর্টস অথরিটি অব ইন্ডিয়ার (সাই) ভর্ৎসনার মুখে পড়ে জাতীয় কোচ ইগর স্টিমাচের (Igor Stimac) সঙ্গে কথা বলার জন্য পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করলেন ফেডারেশন সভাপতি কল্যাণ চৌবে। কোচের সঙ্গে টেকনিক্যাল আলোচনা অথচ পাঁচ সদস্যের কমিটিতে টেকনিক্যাল কমিটির লোক মাত্র দু’জন। যে টেকনিক্যাল কমিটিতে বাইচুং ভুটিয়া, সাব্বির আলির মতো আধুনিক ফুটবল গুলে খাওয়া দুই প্রাক্তন ফুটবলার রয়েছেন, তাঁদের পাঁচ সদস্যের কমিটিতে না রেখে নেওয়া হয়েছে আইএম বিজয়ন ও ক্লাইম্যাক্স লরেন্সকে। পাশাপাশি স্টিমাচের সঙ্গে ফুটবল বিষয়ক আলোচনার জন্য কমিটিতে রাখা হয়েছে ফেডারেশন সহ-সভাপতি এনএ হ্যারিস, ফেডারেশনের ফিনান্স কমিটির চেয়ারম্যান মানেলা এথেন্পা ও কম্পিটিশন কমিটির চেয়ারম্যান অনিলকুমার প্রভাকরণকে।
[আরও পড়ুন: ‘ছাপরির বউ ছাপরি’, হার্দিকের ‘দুর্দিনে’ নেটিজেনদের কটাক্ষের শিকার স্ত্রী নাতাশা]
বিভিন্ন স্পোর্টস ফেডারেশনের পাশাপাশি ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে সাহায্য করে থাকে সাই ও ক্রীড়া মন্ত্রক। দেশে-বিদেশে জাতীয় দলের বিভিন্ন শিবিরের সময় আর্থিক সহায়তা করে পাশে থেকেছে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রক। একটা সময় পর্যন্ত কোচ ইগর স্টিমাচের বেতনের অনেকটা অংশ আসত সাইয়ের তরফে। এই মুহূর্তে ইগর স্টিমাচের মাসিক বেতন ২৫ লক্ষ টাকা। সাইয়ের তরফে কল্যাণ চৌবের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, সরকারি তরফে এত আর্থিক সাহায্য করার পরও কেন এমন ব্যর্থতা? তবে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রক এবং সাই উভয় সংস্থাই মনে করছে ভারতীয় দলের ব্যর্থতার জন্য শুধু কোচ দায়ী হতে পারেন না। ফেডারেশনেরও দায় রয়েছে সমানভাবে। জাতীয় দল নিয়ে ফেডারেশনের কী পরিকল্পনা রয়েছে, তাও জানতে চায় তারা। এমন পরিস্থিতিতে স্টিমাচের মতো চাপে পড়েছেন ফেডারেশন কর্তারাও। আর তাই পুরো বিষয়টা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য তড়িঘড়ি করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করে স্টিমাচের সঙ্গে বৈঠকে বসানো হচ্ছে।
শুক্রবার ফেডারেশন সভাপতি কল্যাণ চৌবে টেকনিক্যাল কমিটির সদস্যের সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠকে বসেছিলেন। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। এই বৈঠকে আলোচনা করা হয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত স্টিমাচের কিছু মন্তব্য নিয়েও। ভার্চুয়াল এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের ১৪ জন সদস্য। এদিনের বৈঠকে কমিটির সদস্যদের পরামর্শ ও মতামত শোনেন ফেডারেশন সভাপতি। তারপর পাঁচ সদস্যের কমিটি তৈরি করা হয়। সেই পাঁচ সদস্যের কমিটিকে দায়িত্ব দেওয়া হয় জাতীয় কোচের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যর্থতার কারণ খোঁজার। এর আগে টেকনিক্যাল কমিটির সদস্যরা নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসেছিলেন। শেষ দুই ম্যাচের প্রথমটায় আভায় আফগানিস্তানের সঙ্গে ড্র করেছিল ভারত। ঘরের মাঠে পরের ম্যাচে লজ্জাজনক হার। আফগানিস্তান ভারতের থেকে ফিফা ক্রমতালিকায় অনেকটাই নিচের দিকে রয়েছে। সামনেই ভারতের দুটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ রয়েছে। বিশ্বকাপ যোগ্যতা অর্জন পর্বে এই দুই ম্যাচে জিততে হবে ভারতকে। যদিও গত দুই ম্যাচে হতাশাজনক ফল হলেও কোচ স্টিমাচ বলছেন, এখনও তিনি পরের পর্বে যাওয়া নিয়ে আশাবাদী।