সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিনের (Covaxin) প্রাথমিক ট্রায়ালে কারও শরীরে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। বিতর্কের মাঝে স্বস্তি দিয়ে এ কথা ঘোষণা করলেন এইমসের (AIIMS) ডিরেক্টর ডাক্তার রণদীপ গুলেরিয়া। কোভ্যাক্সিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলাকালীন অসুস্থ হলে এর আগেও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা ছিল। এবার দেশজুড়ে টিকাকরণ এবং জরুরি ভিত্তিতে কোভ্যাক্সিনের প্রয়োগ শুরুর মুখে এইমসের এই ঘোষণায় যাবতীয় বিতর্কের অবসান হল বলেই দাবি স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।
তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল এখনও শেষ হয়নি ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিনের। তার আগেই জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগের অনুমতি দেওয়া নিয়ে DCGI’এর বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছিল কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলি। টিকা নিয়েও শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক চাপানউতোর। কংগ্রেস নেতা শশী থারুর, সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিরা একযোগে টুইটারে খোঁচা দিয়েছিলেন। সীতারাম ইয়েচুরির দাবি ছিল, কোভ্যাক্সিনের টিকাকরণের পর তার বিস্তারিত রিপোর্ট তথ্য সহকারে প্রকাশ করতে হবে। একদিকে যখন দেশে তৈরি জোড়া করোনা প্রতিষেধক প্রয়োগের ছাড়পত্র মেলায় আশার আলো দেখছেন দেশের সাধারণ মানুষ, সেসময় কোভ্যাক্সিন নিয়ে বিরোধীদের এই সংশয় প্রকাশ দেশবাসীর কাছে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে বলে মনে করছেন এইমসের ডিরেক্টর।
[আরও পড়ুন: শ্মশানের ছাদ ভাঙার ঘটনায় বাড়ছে মৃতের সংখ্যা, গাফিলতির অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩]
এ প্রসঙ্গে রবিবার তিনি জানিয়েছেন যে করোনা ভ্যাকসিনের (Corona vaccine) কার্যকারিতা নিয়ে খুবই আশাবাদী দেশের স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞরা। করোনার বিলিতি স্ট্রেন নতুন করে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। তার বিরুদ্ধেও এই প্রতিষেধক কার্যকরী হবে। এই আশার কথা শুনিয়েছেন এইমস ডিরেক্টর। তাঁর মতে, এই পরিস্থিতিতে ভ্যাকসিন নিয়ে কোনওরকম রাজনীতিই কাম্য নয়। এরপর তিনি স্পষ্ট করে জানান যে কোভ্যাক্সিনের ট্রায়াল পর্বে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে যেমন ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা ছিল, টিকাকরণের সময়েও তা দেওয়া হবে। টিকা নিয়ে কারও কোনওরকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলে যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এইমস ডিরেক্টরের এই ঘোষণা যেমন সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিল, তেমন বিরোধীদেরও জবাব দেওয়া হল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।