বিশেষ সংবাদদাতা, নয়াদিল্লি: উৎসবের মরশুমেই রাজধানী দিল্লির বাতাসে বিষ। নবমীর দিন, সোমবার সকালে দিল্লি ও তার সংলগ্ন আশপাশের অঞ্চলে ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজন তথা এনসিআর-এ বায়ু দূষণের মাত্রা ছিল লাগামছাড়া । শীতকাল এখনও আসেনি, অথচ তার আগেই এদিন সকালে ধোঁয়াশার চাদরে মুড়েই দিন শুরু হয়েছে। তাতে বায়ুদূষণের মাত্রা ছিল ৩০৬, যা মানুষের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। সিস্টেম অফ এয়ার কোয়ালিটি অ্যান্ড ওয়েদার ফোরকাস্টিং অ্যান্ড রিসার্চ, এসএএফএআর-এর অপেক্ষায় রাজধানী দিল্লি তো এনসিআর-এর এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স, দূষণের মাপকাঠি ধরা পড়েছে ৩০৬।
সচরাচর দীপাবলির সময় দিল্লির দূষণের মাত্রা খুবই বেড়ে যায়। পার্শ্ববর্তী রাজ্য পাঞ্জাব ও হরিয়ানায় খেতের নাড়া জ্বালানোর ধোঁয়া, সঙ্গে দীপাবলি উপলক্ষে দিল্লিতে যথেচ্ছ বাজির ব্যবহার– এই দুই মিলিয়ে রাজধানী দিল্লিজুড়ে ছেয়ে থাকে ধোঁয়াশার আস্তরণ। এমন চিত্র দেখতেই এতদিন অভ্যস্ত ছিলেন দিল্লিবাসীরা। সেই একই চিত্র দীপাবলির বেশ কিছুদিন আগে নবরাত্রির সময়ে সামনে উঠে আসায় কপালে ভাঁজ পড়েছে প্রশাসনের।
দিল্লির পরিবেশ মন্ত্রী গোপাল রাই দূষণ প্রসঙ্গে আশার বাণী কিছু শোনাতে পারেননি। উলটে আগামী দিনে দূষণ যে আরও বাড়বে এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। রাই জানিয়েছেন, ”দিল্লিতে ঠান্ডা পড়া শুরু হয়ে গেছে এবং হাওয়ার গতি অনেকটাই কমেছে। দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সঙ্গে আশপাশের রাজ্যে নাড়া জ্বালানো শুরু হয়ে গেছে। সেখানকার পরিবেশমন্ত্রীদের সঙ্গে আমাদের কথাবার্তা হয়েছে। ফসলের নাড়া জ্বালানোর বিষয়ে নজরদারি রাখা হবে বলেই তাঁরা জানিয়েছেন।”
[আরও পড়ুন: ‘হেজবোল্লা লড়াইয়ে নামলে কিন্তু… ‘, কী হুঁশিয়ারি নেতানিয়াহুর মুখে?]
আগামী ১০-১৫ দিন দিল্লির বাতাসের পক্ষে খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স অনুযায়ী, শূন্য থেকে পঞ্চাশ অবধি বাতাসের মানকে ভালো বলে ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ পর্যন্ত সন্তোষজনক, ১০১ থেকে ২০০ পর্যন্ত মাঝারি, ২০১ থেকে ৩০০ পর্যন্ত খারাপ , ৩০১ থেকে ৪০০ পর্যন্ত খুব খারাপ, ৪০১ থেকে ৫০০ পর্যন্ত উদ্বেগজনক। সেই হিসাবে রাজধানীর দূষণ এখনই খুব খারাপের পর্যায়ে চলে গিয়েছে। এখন পরিস্থিতি সামলাতে দিল্লি সরকারের পক্ষ থেকে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয় সেদিকে তাকিয়ে রয়েছেন সকলেই।