সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বছরের শুরুতেই ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা নেপালে। ৭২ জন যাত্রীকে নিয়ে ভেঙে পড়ল বিমান। রবিবার বেলা ১১টা নাগাদ পোখরা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের আগে দুর্ঘটনা ঘটে। ভেঙে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীবাহী বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। আপাতত বিমানবন্দর বন্ধ করে চলছে উদ্ধারকাজ। ইতিমধ্যে ১৬ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। বিমানের কর্মী-সহ যাত্রীদের জীবিত থাকার আশা খুবই ক্ষীণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
রবিবার সকালে কাঠমান্ডু থেকে পোখরা যাচ্ছিল ইয়েতি এয়ারলাইন্সের বিমানটি। সূত্রের খবর, পোখরা পুরনো ও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মাঝে পাহাড়ি এলাকায় ভেঙে পড়ে বিমানটি। বিমানে পাইলট-সহ মোট চারজন কর্মী ছিলেন। যাত্রী ছিলে ৬৮ জন। বিমানে আগুন ধরে যাওয়ায় তাঁদের বেঁচে থাকা নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
[আরও পড়ুন: উইঘুর মুসলিমদের অধিকার নিয়ে সরব চিনের ‘বন্ধু’ পাকিস্তানও! পাক দূতাবাসের টুইটে জল্পনা]
ঘটনাস্থে পৌঁছে গিয়েছে দমকল ও সেনাকর্মীরা। উদ্ধারকার্যে হাত লাগিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বিমানের ভিতর থেকে যাত্রীদের বের করে আনার চেষ্টা চলছে। আপাতত পোখরা বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামা বন্ধ রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যে ১৬ জনের দেহ উদ্ধার করা গিয়েছে।
ইয়েতি বিমান সংস্থার মুখপাত্র সুদর্শন বারতৌলা জানিয়েছেন, “ইয়েতি এয়ারলাইন্সের এয়ারক্রাফটে ৪ জন বিমানকর্মী ও ৬৮ জন যাত্রী ছিলেন। পোখরা পুরনো ও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মাঝে ভেঙে পড়ে বিমানটি।” কী কারণে ঘটল দুর্ঘটনা, তা এখনও অজানা। বিমানের ব্ল্যাকবক্স উদ্ধার হলে দুর্ঘটনার আসল কারণ জানা যাবে বলে মনে করছে নেপালের বিমান সংস্থার আধিকারিকরা।