সুব্রত বিশ্বাস: গরিব মানুষ রেল ভুলে যাক, তাই চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার ও রেলমন্ত্রক। বৃহস্পতিবার পূর্ব রেলের মেনস ইউনিয়নের শতবর্ষ পালনে কলকাতায় (Kolkata) এসে সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুললেন এআরএফের সভাপতি শিবগোপাল মিশ্র। তিনি রীতিমতো তোপ দেগে বলেন, ”বাস, ট্রাম, ট্যাক্সি সব চলছে। ট্রেন কম চালিয়ে নম্বরের আগে শূন্য জুড়ে স্পেশ্যাল করে ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে। সাধারণ মানুষ ট্রেনে চড়তে পারছেন না। এটা অভিসন্ধিমূলক। এই পরিকল্পনার উদ্দেশ্য, রেল (Indian Railways) বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া, যাতে গরিব মানুষ ট্রেন চড়া ভুলে যায়।”
রেল কোভিড কালে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। মালগাড়ি চালিয়ে টাকা তুলেছে। এই সময়ে সাড়ে দশ হাজার মালগাড়ি চলেছে। রেল পরিষেবা সচল রাখতে গিয়ে দেশজুড়ে দু’শোর বেশি কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। তাঁদের পরিবারকে ৩৫ লক্ষ ক্ষতিপূরণের দাবিও জানিয়েছে কর্মী সংগঠন। কেন্দ্র ও রেলমন্ত্রককে হুমকি দিয়ে এদিন মিশ্র বলেন, ”যে কোনও পদ্ধতিতে রেলের বেসরকারিকরণ (Privatization) রোখা হবে। দেশের ৭,৬০০টি স্টেশনে রেলকর্মীদের অনশনের সঙ্গে কৃষক, শ্রমিক, বুদ্ধিজীবী, সাধারণ মানুষ একযোগে আন্দোলন চালাবে এই নীতির বিরুদ্ধে।”
[আরও পড়ুন: বিল মেটাতে পারেননি মানসিক ভারসাম্যহীন রোগী, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হাসপাতালের]
বৃহস্পতিবার পূর্ব রেলের জিএমকে সামনে রেখে রেলের চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়া নিয়েও তীব্র সমালোচনা করেন এএ মিশ্র। তাঁর অভিযোগ, বিআর সিং ও হাওড়া অর্থপেডিক হাসপাতালের পরিকাঠামো ধংসের প্রচেষ্টা করছেন ওই রেলের স্বাস্থ্যদপ্তরে সর্বময় কর্তা। তাঁর নীতি বিরোধিতার জন্য উচ্চমানের চিকিৎসকরা রেলের চাকরি ছেড়ে যাচ্ছেন। অসুস্থ আনফিট কর্মীদের অন্য বিভাগে নিয়োগ না দেওয়ায় পূর্ব রেলের প্রায় ২০০ জন কর্মী দীর্ঘ বছর ধরে বেতন পাচ্ছেন না। এসব অভিযোগের সুরাহার জন্য তিনি জিএমের কাছে আবেদনও জানিয়েছেন।