সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত বছর লোকসভায় ‘অশালীন’ মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন বিজেপি (BJP) সাংসদ রমেশ বিধুরি (Ramesh Bidhuri)। বিএসপি সাংসদ দানিশ আলিকে কটু মন্তব্যের পর পরিস্থিতির চাপে দলীয় সাংসদকে শোকজও করেছিল দল। বিধুরিকে আসন্ন লোকসভা ভোটে টিকিট দিল না গেরুয়া শিবির। মনে করা হচ্ছে, বিতর্কের জেরেই ‘শাস্তি’ পেলেন তিনি। অন্যদিকে ঘৃণা ভাষণের জন্য ‘কুখ্যাত’ সাধ্বী প্রজ্ঞাকেও (Sadhvi Pragya) প্রার্থী করা হল না। যদিও বিরাট বিতর্কের পরেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনিকেই (Ajay Mishra Teni) লখিমপুর খেরিতে প্রার্থী করল মোদি-শাহর দল। উল্লেখ্য, গাড়ি চাপা দিয়ে কৃষক মারায় অভিযুক্ত হয়েছিলেন অজয়ের ছেলে আশিস।
২০২১ সালের ৩ অক্টোবর গাড়ি চাপা দিয়ে আন্দোলনরত ৪ কৃষক-সহ মোট ৮ জনকে খুন করেছেন বলে আশিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। ওই সময় নরেন্দ্র মোদি সরকারের ৩টি বিতর্কিত কৃষি আইনের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত উত্তাল হয়েছিল। লখিমপুরেও বিক্ষোভ প্রদর্শন করছিলেন কৃষকেরা। তাঁদের উপর গাড়ি চালিয়ে মোট ৮ জনকে পিষে মেরে ফেলার দেওয়ার অভিযোগ ওঠে আশিসের বিরুদ্ধে। এই মামলায় এলাহাবাদ হাই কোর্টে জামিন পেলেও তা খারিজ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। পরে শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মতো আত্মসমর্পণ করেছিলেন মন্ত্রীপুত্র। শেষ পর্যন্ত গত অক্টোবরে শর্তসাপেক্ষে জামিন পান আশিস।
[আরও পড়ুন: মোদি বারাণসীতেই, ভোট ঘোষণার আগেই ১৯৫ আসনের প্রার্থীতালিকা প্রকাশ বিজেপির]
এত বড় বিতর্কের পরেও আশিসের বাবা অজয় টেনির উপরেই ভরসা রাখল বিজেপি। বিরোধীদের বক্তব্য, দানিশ আলিকে কটু মন্তব্য করা দক্ষিণ দিল্লির সাংসদ রমেশ বিধুরি বা ভোপালের সাংসদ সাধ্বী প্রজ্ঞাকে টিকিট না দেওয়ার সঙ্গে ন্যায়-অন্যায়ের সম্পর্ক নেই। থাকলে অজয় টেনিকে প্রার্থী করা হত না। আশিসের ওই কাণ্ডের পর অজয়কে প্রার্থী করা কার্যত কৃষক হত্যার ‘পুরস্কার’। বিশ্লেষকদের বক্তব্য, ২০২১ সালের ঘটনার পরেও খেরিতে অজয়ের প্রভাব কমেনি। ওই এলাকায় দলকে জেতানোর মতো বিকল্প মেলেনি বলেই টেনিতে ভরসা রেখেছে যোগীর দল।