সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে নয়া মোড়! অজিত পওয়ারকে (Ajit Pawar) এনসিপি পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন বা দলের বাইরের কেউ হিসাবে ভাবতে নারাজ কাকা তথা এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পওয়ার। তিনি সাফ বলে দিচ্ছেন, অজিত পওয়ার এখনও এনসিপিরই (NCP) নেতা এবং তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
মাস দু’য়েক আগে সদলবলে শরদ পওয়ারের (Sharad Pawar) এনসিপি থেকে বেরিয়ে বিজেপির সঙ্গে নাম লেখান ভাইপো অজিত পওয়ার। মহারাষ্ট্র মন্ত্রিসভায় যোগ দেন এনসিপির ৯ বিধায়ক। অজিত নিজে উপমুখ্যমন্ত্রী হন। ক্ষুব্ধ শরদ অজিত শিবিরের একাধিক নেতাকে বরখাস্ত করেন। কিন্তু অজিতকে বহিষ্কার বা বরখাস্ত কোনওটাই করেননি শরদ। যদিও সেসময় মনে হচ্ছিল, এনসিপি দুই ভাগে ভেঙে যেতে চলেছে।
[আরও পড়ুন: শাড়ি কেনার নাম করে বাড়িতে ঢুকে মহিলা ব্যবসায়ীকে খুন, লুট টাকা ও গয়নাগাটি]
কিন্তু তারপর পরিস্থিতি অনেক বদলেছে। শরদ পওয়ার এবং অজিত পওয়ার একাধিকবার গোপনে নিজেদের মধ্যে বৈঠক করেছেন। এমনকী শরদকে বিজেপি (BJP) শিবিরে শামিল করার চেষ্টাও করেন অজিত। যদিও মারাঠা স্ট্রংম্যান তাঁকে জানিয়ে দেন, তিনি সরাসরি বিজেপিতে যোগ দেবেন না। সে প্রশ্নই ওঠে না। তবে যদি তাঁর দলের কেউ বিজেপির হাত ধরতে চায়, তাতে তাঁর আপত্তি নেই। অর্থাৎ শরদ বিজেপি নিয়ে কিছুটা হলেও সুর নরম করেছেন। এরই মধ্যে তাঁর নতুন বয়ান জল্পনা বাড়াল।
[আরও পড়ুন: CCTV ফুটেজ কোথায়? প্রমাণ খুঁজতে জলপাইগুড়ি থেকে মেখলিগঞ্জে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়]
আসলে পওয়ার পরিবারের দুর্গ হিসাবে পরিচিত বারামতিতে গিয়ে এনসিপির কার্যকরী সভাপতি সুপ্রিয়া সুলে (Supriya Sule) একদিক আগেই বলেছিলেন, “অজিত পওয়ার যতই দলবিরোধী অবস্থান নিন, তিনি দলের একজন সিনিয়র নেতা এবং বিধায়ক।” সুপ্রিয়ার সেই মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করা হলে শরদ পওয়ারও স্পষ্ট করে দিয়েছেন, “অজিত পওয়ার যে এনসিপির নেতা তাতে কোনও সন্দেহ নেই। দলেও কোনও ভাগ হয়নি। একটি রাজনৈতিক দল ভেঙে যাওয়া মানে হল একটা বড় অংশের নেতা একসঙ্গে জাতীয় স্তরে দল থেকে বেরিয়ে যাওয়া। এখানে তেমন কিছুই হয়নি। কেউ কেউ অন্য অবস্থান নিয়েছেন। গণতন্ত্রে এটা ওদের অধিকার।” অর্থাৎ অজিতকে দল থেকে ব্রাত্য করতে নারাজ শরদ। দিন কয়েক বাদে মহারাষ্ট্রেই বিরোধী INDIA জোটের বৈঠক। তার আগে শরদের এই মন্তব্য বিরোধী শিবিরে বিভ্রান্তি বাড়াচ্ছে।