সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশে বিজেপির অন্দরের ডামাডোলের মধ্যেই সোশাল মিডিয়ায় ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করলেন সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব। এক্স হ্যান্ডেলে তাঁর ছোট্ট বার্তা, "১০০ লাও, সরকার বানাও।" কার উদ্দেশে এই বার্তা, স্পষ্ট করেননি সপা সুপ্রিমো। কিন্তু উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা যে কেশবপ্রসাদ মৌর্যর (Keshav Prasad Maurya) উদ্দেশেই দেওয়া, সেটা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট।
দিন কয়েক আগে থেকেই উত্তরপ্রদেশে বিজেপির (BJP) অন্দরে ডামাডোল চলছে। শোনা যাচ্ছে, লোকসভায় উত্তরপ্রদেশে ভরাডুবির জেরে যোগীর (Yogi Adityanath) ক্ষমতায় রাশ টানতে চলেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। উত্তরপ্রদেশ বিজেপির প্রভাবশালী নেতা তথা যোগী আদিত্যনাথের ডেপুটি কেশব প্রসাদ মৌর্য যোগীর উপর নারাজ। যোগীর নেতৃত্বে আর আস্থা রাখতে পারছেন না তিনি।
[আরও পড়ুন: ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে ডিব্রুগড় এক্সপ্রেস, লাইনচ্যুত ১০-১২টি কামরা]
দিন কয়েক আগে মৌর্য প্রকাশ্যে বলেন, “সবসময় মনে রাখতে হবে সরকারের থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ সংগঠন।” সেই মন্তব্যে উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে আলোড়ন পড়ে যায়। তার পর মঙ্গলবার কেশব প্রসাদ মৌর্য সোজা চলে আসেন দিল্লিতে। দলের রাজ্য সভাপতি চৌধুরী ভুপেন্দ্র সিংও তাঁর সঙ্গে ছিলেন। দিল্লিতে এসে যোগীর নামে নালিশ করে যান। রাজ্যর সরকার এবং দলের সংগঠনে রদবদল দাবি করেন তিনি। বস্তুত মৌর্যর যোগীর উপর অসন্তোষ নতুন নয়। ২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে তিনিও ছিলেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বেছে নেয় যোগীকে। মৌর্যকে করা হয় উপমুখ্যমন্ত্রী। তখন থেকেই অসন্তোষ চেপে রেখেছেন কেশবপ্রসাদ। লোকসভায় খারাপ ফলের পর দলের অন্দরে সরব হয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: জমি কেড়েছে মাফিয়া! কাঁদতে কাঁদতে সরকারি অফিসের মেঝেতে গড়াগড়ি খেলেন কৃষক]
এদিকে বিজেপির অন্দরের এই গোলযোগের সুযোগ নিতে আসরে নেমে পড়েছেন অখিলেশও। বিজেপির বিক্ষুব্ধ নেতার উদ্দেশে তাঁর খোলা 'অফার'। ১০০ জন বিধায়ক ভাঙিয়ে আনতে পারলেই সরকার গঠনে সমাজবাদী পার্টি সাহায্য করবে কেশবপ্রসাদ মৌর্যকে। সপা সূত্রের খবর, মৌর্যকে মুখ্যমন্ত্রী পদে মানতেও আপত্তি নেই অখিলেশের। যদিও এ সবটাই আপাতত স্রেফ শূন্যে ঢিল ছোঁড়ার মতো। কারণ কেশব প্রসাদ মৌর্য দল ভাঙানোর কোনও ইঙ্গিত এখনও দেননি। এমনকী, মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার বাসনাও প্রকাশ করেননি।