সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০২২ সালে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) নির্বাচনী লড়াই খানিকটা ফিকে হল। সে রাজ্যের বিরোধী দল সমাজবাদী পার্টির (SP) জাতীয় সম্পাদক তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব (Akhilesh Yadav) এই লড়াই থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন। সোমবার তিনি এই ঘোষণা করেছেন। এই মুহূর্তে তিনি আজমগড়ের সাংসদ। তবে বাইশে অখিলেশকে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ হিসেবে তুলে ধরতে চেয়েছিল তাঁর দল। কিন্তু অখিলেশ জানালেন, তিনি প্রার্থী হবেন না। বিধান পরিষদ নিয়ে বেশি আগ্রহী। সেইসঙ্গে এও জানালেন, আরএলডি’র (RLD) সঙ্গে সমাজবাদী পার্টির জোট চূড়ান্ত। এবার আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা চলবে।
অখিলেশের এই ঘোষণায় বিধানসভা ভোটের আগে রাজনৈতিক লড়াইয়ের নতুন সমীকরণ তৈরি হল। সপা সুপ্রিমো জানিয়েছিলেন, বিজেপি বিরোধী আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে জোটে আগ্রহী। কথা চলছিল কংগ্রেস-সহ একাধিক দলের সঙ্গে। ইতিমধ্য়ে ওমপ্রকাশ রাজভড়ের ভারতীয় সমাজ পার্টির সঙ্গেও কথাবার্তা এগিয়েছে। কাকা শিবপাল যাদবের প্রগতিশীল সমাজবাদী পার্টি লোহিয়ার (PSPL) সঙ্গে জোট বাঁধতেও যে কোনও আপত্তি নেই, তাও প্রকাশ করেছিলেন অখিলেশ। তবে এদিন সংবাদমাধ্যমে আরএলডি-র সঙ্গে জোটের কথা চূড়ান্ত করে জানিয়েছেন তিনি। তবে নিজে কেন প্রার্থীপদ থেকে সরে দাঁড়ালেন, তা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। দলও এ ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটেছে আপাতত।
[আরও পড়ুন: চিকিৎসার বদলে মৌলবীর ঝাড়ফুঁক, কেরলে বাবা-মায়ের কুসংস্কারের বলি ১১ বছরের মেয়ে]
উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনী লড়াইয়ে বরাবরই বড় ভূমিকায় থাকে যাদবরা। রাজ্যের ক্ষমতা থেকে জাতীয় রাজনীতিতে নিজেদের দলকে প্রতিষ্ঠা করার পথে এগিয়েছে মুলায়মের দল। এখন তাঁরা রাজ্যের বিরোধী দল। যোগী আদিত্যনাথের সরকারের বিরুদ্ধে কিন্তু অন্যতম নিয়ন্ত্রক ভূমিকা সমাজবাদী পার্টিরই। আর মুলায়মের পর তাঁর পুত্র অখিলেশই এই মুহূর্তে দলের প্রধান মুখ। অখিলেশ আগেও ২ বার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। যদিও অখিলেশের ট্র্যাক রেকর্ড বলছে, তিনি কখনও বিধানসভা ভোটে প্রার্থী হননি। বরাবর বিধান পরিষদ থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসেছেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না।
[আরও পড়ুন: Petrol Diesel Price: পেট্রল-ডিজেলের দামবৃদ্ধি অব্যাহতই, বাড়ল গ্যাস সিলিন্ডারের মূল্যও]
করোনা আবহে উত্তরপ্রদেশের পঞ্চায়েত নির্বাচন ও স্থানীয় স্তরের একাধিক নির্বাচনে বিজেপিকে ভালই টেক্কা দিয়েছিল অখিলেশের দল। বিজেপির বিরুদ্ধে আরও শক্তিশালী হিসেবেই নিজেদের তৈরি করছিল। চাঙ্গা হচ্ছিলেন কর্মীরাও। অখিলেশকে তাঁরা প্রচারের মাঠে বেশি করে চান। হয়ত সমর্থকদের সেই আশা পূরণের পথেই হাঁটবেন মুলায়মপুত্র।