সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেন্দ্রের চিঠির পরও আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Alapan Banerjee) ছাড়েনি রাজ্য। বরং সোমবার নিজের কর্মজীবন থেকে অবসর নিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা পদে তাঁকে নিযুক্ত করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের নতুন মুখ্যসচিব হলেন হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। এবং স্বরাষ্ট্রসচিব পদে তাঁর বদলে এলেন বি পি গোপালিকা।
মুখ্যসচিবের বদলি নিয়ে তুঙ্গে কেন্দ্র-রাজ্য টানাপোড়েন। আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Alapan Banerjee) এখন ছাড়া যাবে না, সোমবার চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিকেলে পাঁচটার কিছুক্ষণ আগে রাজ্যকে পালটা চিঠি দেয় কেন্দ্র। তাতে মুখ্যসচিবকে অবিলম্বে কেন্দ্রের কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, ৩১ মে-ই আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Alapan Banerjee) অবসর গ্রহণের দিন ছিল। কিন্তু রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি এবং ঘূর্ণিঝড় যশ পরবর্তী পরিস্থিতি সামাল দিতে তাঁর কর্মজীবনের মেয়াদ তিন মাস বৃদ্ধির আবেদন জানায় রাজ্য। তাতে সায়ও দেয় মোদি সরকার। কিন্তু এর কয়েক দিনের মধ্যেই আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে বদলির নির্দেশ দেয় কেন্দ্র। এর পরই তুঙ্গে ওঠে টানাপোড়েন।
[আরও পড়ুন: ‘চিঠির উত্তরে চিঠি দিয়েছি, এটাই দস্তুর’, আলাপন ইস্যুতে সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া মুখ্যমন্ত্রীর]
এদিন সকালে দিল্লিতে কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ থাকলেও যাননি মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় (Alapan Banerjee) । বরং কর্মজীবনের মেয়াদ বৃদ্ধি না করে ৩১ তারিখই অবসর নিলেন তিনি। তবে ১ জুন থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মুখ্য উপদেষ্টা পদে নতুন কর্মজীবন শুরু করছেন তিনি। আগামী তিন বছর এই পদেই নিযুক্ত থাকবেন তিনি। তবে মুখ্যসচিবের সঙ্গে এ হেন আচরণ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের তীব্র সমালোচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
কেন্দ্রকে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, “কেন মুখ্যসচিবকে ডেকে পাঠানো হল? চিঠিতে কোথাও কারণের উল্লেখ করা হয়নি।” একইসঙ্গে তাঁর দাবি, “এটা স্রেফ প্রতিহিংসামূলক আচরণ। বাংলা জিততে না পেরে এমন কাজ করছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। ওঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পছন্দ করে না। তাই হয়রান করা হচ্ছে। এমন নির্মম প্রধানমন্ত্রী আগে দেখিনি।”