সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বয়স ষাট। তবে ষোড়শীর চেয়ে কোনও অংশে কম যান না তিনি। তাই সময়ের অংকে পিঠে ছাপ পড়ে যাওয়ায় 'প্রবীণ' তকমা ঝেড়ে ফেলে ৬০ বছর বয়সে বিশ্বসুন্দরীর মুকুট মাথায় পরলেন 'ষাটের ষোড়শী' আলেজান্দ্রা মরিসা রডরিগেজ (Alejandra Marisa Rodriguez)। ইতিহাস তো বটেই, একই সঙ্গে চমকে দিলেন গোটা বিশ্বকে।
গত ২৪ এপ্রিল বসেছিল বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতার আসর। প্রতিযোগীর সংখ্যাও নেহাত কম ছিল না। ১৮ থেকে ৭৩ নানা বয়সের ৩৫ জন মহিলা যোগ দিয়েছিলেন এই সুন্দরের প্রতিযোগিতায়। সেখানেই হাঁটুর বয়সীদের পিছনে ফেলে বিশ্বসেরা সুন্দরীর খেতাব জিতে নিলেন আলেজান্দ্রা। এত বয়সে কীভাবে এই প্রতিযোগিতা জিতলেন 'ষাটের ষোড়শী'? জানা যাচ্ছে, ১৯৫২ সাল থেকেই বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতার নিয়ম ছিল, প্রতিযোগীর বয়স অবশ্যই ১৮ থেকে ২৮ বছরের মধ্যে হতে হবে। ২০২৩ সালে এই নিয়মের বদল ঘটায় কর্তৃপক্ষ। জানানো হয় যে কোনও বয়সের মহিলা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারেন। নিয়ম বদলাতেই তার সুযোগ নেন আত্মবিশ্বাসী আলেজান্দ্রা। বাকিটা ইতিহাস।
[আরও পড়ুন: ‘আপনার সম্পদ মুসলিমদের দেবে কংগ্রেস’, মোদির পথেই মেরুকরণের সুর অনুরাগের গলায়]
জানা যাচ্ছে, আর্জেন্টিনার (Argentina) বুয়েন্স আইরেসের লা প্লাতার বাসিন্দা আলেজান্দ্রা মরিসা রডরিগেজ। হাইস্কুল পাশ করার পর সাংবাদিকতায় মাধ্যমে শুরু করেন কর্মজীবন। এর পর আইনের ডিগ্রি নিয়ে পাকাপাকি ভাবে হয়ে ওঠেন আইনজীবী। আলেজান্দ্রা অবশ্য বিশ্বাস করেন এই সুন্দরের প্রতিযোগিতায় বয়সের হিসেবে অনেকর চেয়ে যথেষ্ট প্রবীণ তিনি। তবে বাস্তবে তাঁর শরীরে ছাপ ফেলতে পারেনি বয়স।
[আরও পড়ুন: ব্যস্ত জিটি রোডের মাঝে চেয়ার পেতে বসে বাহাদুরি! রিলের নেশায় হাজতে ঠাঁই যুবকের]
এই বয়সেও মাথা ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো সৌন্দর্যের রহস্যও এদিন ফাঁস করেছেন আলেজান্দ্রা। তাঁর দাবি, জীবনযাত্রায় নিয়মানুবর্তিতা ও সঠিক খাদ্যাভ্যাসই এই রহস্যের মূল চাবিকাঠি। তিনি বলেন, "মূল বিষয়টি হল স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন। ভালো খাওয়া, শারীরিক অনুশীলন, এগুলিই একমাত্র পথ সুন্দর হওয়ার।"