সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ট্রেলার প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই গৌরী শিণ্ডের নতুন ছবি ‘ডিয়ার জিন্দগি’ এবং তার নায়ক-নায়িকার রসায়ন নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। বিশেষ ভাবে যদিও আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছেন আলিয়া ভাট। সবাই জানতে ইচ্ছুক- ছবির মতো বাস্তবেও কি অনেকগুলো প্রেম করেছেন আলিয়া? করে থাকলে তাঁর সেই প্রেমগুলোর অভিজ্ঞতা আর পরিণতিই বা কী?
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেই প্রেম আর জীবনের প্রাক্তন পুরুষদের নিয়ে মুখ খুললেন নায়িকা। জানালেন, তিনি প্রথম প্রেমে পড়েছিলেন ক্লাস এইটে! বলাই বাহুল্য, সেই প্রেম ছিল ক্ষণিকের। তাকে প্রেম না বলে আকর্ষণ বলাই ভাল! কাজেই সেই আকর্ষণ প্রেমে পরিণতিও পায়নি!
কিন্তু এই কথাটি বলার পরেই আলিয়ার মুখ দিয়ে বেরিয়েছে এক বিস্ফোরক সত্য! নায়িকা জানিয়েছেন, প্রাক্তন এক বয়ফ্রেন্ডের হাতে কী ভাবে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিল তাঁর জীবন! জানিয়েছেন, সেই পুরুষটি কী ভাবে প্রতি পদক্ষেপে নাস্তানাবুদ করতেন তাঁকে!
“আমার সেই সম্পর্কটা অনেক দূর এগিয়েছিল। একটা সময়ে আমি বিয়ে করে থিতু হওয়ার কথাও ভেবেছিলাম। ভেবেছিলাম, কাজ করব না, মন দেব সংসারেই! মা হব, ছেলেমেয়েদের দেখাশোনা করেই দিব্যি কাটবে জীবন”, জানিয়েছেন আলিয়া।
কিন্তু, আলিয়ার সেই স্বপ্ন ভেঙে যায় অচিরেই! কেন না তিনি বুঝতে পারেন, যাঁর সঙ্গে তিনি ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখছেন, সেই পুরুষটি অতিরিক্ত মাত্রায় অধিকারপ্রবণ! “সে এতটাই পজেসিভ ছিল যে আমার জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে! প্রতি মুহূর্তে সেই অধিকারবোধের জায়গা থেকে আমায় সমস্যায় পড়তে হত। কথায় কথায় দিতে হত কৈফিয়ত”, জবানবন্দি আলিয়ার!
কিন্তু এভাবে তো আর বেশি দিন চলতে পারে না! তাই একটা সময় সম্পর্ক ভাঙতে বাধ্য হন নায়িকা! “আমি বুঝতে পারি, এই জীবনটা আমার! তার জন্য আমি কাউকে কৈফিয়ত দিতে বাধ্য নই! এটা বুঝতে পারার পরেই আমি সেই সম্পর্ক থেকে সরে আসি। মন দিই কাজে”, বলেছেন আলিয়া।
তবে সেই পুরুষটি যে কে, সেটা হাজার জিজ্ঞাসা সত্ত্বেও বলেননি আলিয়া। বরং, এখন যে পুরুষটি রয়েছেন তাঁর জীবন জুড়ে, বলেছেন তাঁর কথাই! তিনি সিদ্ধার্থ মালহোত্রা ছাড়া আর কেউ নন! তাঁদের সম্পর্ক ভাঙার যে সব গুজব রটেছে, সেগুলোও এক ফুঁয়ে উড়িয়ে দিয়েছেন নায়িকা।
“যাহ্ বাবা! কবে আবার আমাদের সম্পর্ক ভাঙল? সিড এখনও আমার খুব বেশি ভাবেই রয়েছে! নিয়মিত আমরা কত কথা বলি”, কবুল করেছেন সুন্দরী!
The post প্রাক্তন বয়ফ্রেন্ডের জন্য জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিল আলিয়ার! appeared first on Sangbad Pratidin.