সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘এলিয়েন’ বা ভিনগ্রহীদের সন্ধানে বিশ্বের বৈজ্ঞানিক মহল বহু বছর ধরেই উদ্যোগী। ‘এলিয়েন’-দের উপর নজর রাখতে, তাদের কর্মকাণ্ডের হদিশ পেতে যুগ যুগ ধরেই চলছে নিরন্তর গবেষণা। কিন্তু এর উলটোটা কতটা সত্যি? অর্থাৎ অন্য গ্রহের বাসিন্দাদেরও তো পৃথিবীর বাসিন্দাদের প্রতি আগ্রহ থাকতে পারে! তাহলে সেক্ষেত্রে তারা কীভাবে তা পূরণ করবে? কীভাবে তারা আমাদের উপর নজর রাখবে? সেটাও কী সম্ভব?
[আরও পড়ুন: গুপকার ডিক্লেরেশনের প্রেসিডেন্ট মনোনীত ফারুক আবদুল্লা, কাশ্মীরে ‘ভারত বিরোধের’ নয়া মঞ্চ]
বৈজ্ঞানিকদের দাবি, সবই সম্ভব। তবে তার জন্য প্রয়োজন সঠিক ঠিকানার। আর সেই ঠিকানারই আশ্রয় সম্প্রতি বাতলে দিয়েছেন তাঁরা। বৈজ্ঞানিকরা চিহ্নিত করেছেন ১,০০৪টি এমন নক্ষত্র, যারা পৃথিবী থেকে বহু আলোকবর্ষ দূরে থাকলেও, তাদের নিখুঁত অবস্থানের কারণেই পৃথিবীকে ভালভাবে দেখা এবং পর্যবেক্ষণ করা যাবে। এমনকী, সেখান থেকেই পৃথিবীর বুকে প্রাণের সন্ধান চালানোর কাজও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে। কীভাবে? বৈজ্ঞানিকরা জানাচ্ছেন, এই সব নক্ষত্রগুলিকে প্রদক্ষিণকারী গ্রহগুলিতে যদি কোনও পর্যবেক্ষক (পড়ুন ভিনগ্রহী জীব) থাকেন এবং তারা পৃথিবীতে প্রাণের উৎস খুঁজতে আগ্রহী হন, তাহলে তারা অত্যন্ত উপকৃত হবেন। কারণ ওই অবস্থান থেকে তাঁরা পৃথিবীর বায়োস্ফিয়ার তথা জীবমণ্ডলে ভাল ‘ভিউ’ পাবেন। বৈজ্ঞানিকদলের প্রধান লিজা কালটেনেগার এ কথা জানিয়েছেন। তিনি এবং অপর বৈজ্ঞানিক জোশুয়া পেপারের দাবি, চিহ্নিত ১০০৪টি নক্ষত্রের মধে্য কিছু কিছু তো পৃথিবী থেকে টেলিস্কোপ বা দূরবীন ছাড়াও দেখা সম্ভব। এদের বেশিরভাগই সূর্যের সমতুল।
উল্লেখ্য, ভিনগ্রহীরা কি নেহাতই কল্পনা, নাকি তার মধ্যে বাস্তবতা আছে, এ নিয়ে বিস্তর গবেষণা চলেছে। অনেক বিজ্ঞানী দাবি করেছেন, পৃথিবী তথা এই ব্রহ্মাণ্ডের বাইরেও প্রাণের অস্বস্তি আছে, আবার কোনও কোনও গবেষক মনে করেন পৃথিবীই প্রাণের একমাত্র উৎস। এরই মধ্যে 2018 সালে আশ্চর্য দাবি করেছিলেন মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার এক বিজ্ঞানী। তিনি বলেছিলেন, ভিনগ্রহে প্রাণী শুধু আছে তাই নয়, তাঁরা হয়তো এতদিনে পৃথিবীতে ঘুরেও গিয়েছে। আমরা শুধু দেখতে পাইনি।