সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সংখ্যালঘু’ তকমা ছিনিয়ে নিতে চায় মোদি সরকার। বেশ কয়েক বছর ধরেই এই জল্পনা চলছিল। এবার নিজেদের অবস্থান সরকারিভাবে জানিয়ে দিল কেন্দ্র। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় (Aligarh Muslim University) শুধুমাত্র সংখ্যালঘুদের প্রতিষ্ঠান হতে পারে না।
কেন্দ্রের যুক্তি, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় ‘জাতীয় গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিষ্ঠানে’র তকমা পেয়েছে। আর কোনও ‘জাতীয় গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান’ কোনওভাবেই নির্দিষ্ট কোনও ধর্মের বা নির্দিষ্ট কোনও জাতির বিশ্ববিদ্যালয় হতে পারে না। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) কেন্দ্রের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা জানিয়েছেন, ১৮৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রাক-স্বাধীনতা যুগেও জাতীয় স্তরের গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল। তাই তাকে কেবলমাত্র সংখ্যালঘুদের জন্য বলা যেতে পারে না।
[আরও পড়ুন: ফের হামলার আশঙ্কা ইডির? এবার শক্তি বাড়িয়ে অভিযান]
তিনি বলেন, দেশের এবং সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতার কথা মাথায় রেখে জাতীয় গুরুত্বের কোনও প্রতিষ্ঠানকে সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা দেওয়া যায় না। আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় কোনও নির্দিষ্ট ধর্ম বা ধর্মীয় সম্প্রদায়ের বিশ্ববিদ্যালয় নয় এবং হতেও পারে না।
[আরও পড়ুন: খাস কলকাতার রাস্তায় মদ্যপের তাণ্ডব, ভ্যানচালককে ধাক্কার পর গাড়ির উপর নাচ যুবকের!]
মোদি (Narendra Modi) সরকার শুরু থেকেই আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের মুসলিম তকমা ঘোচাতে সচেষ্ট। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মনিরপেক্ষতা প্রতিষ্ঠা করতে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উদ্যোগ নিয়েছেন। মোদি নিজে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে পর্যন্ত গিয়েছেন। লালবাহাদুর শাস্ত্রীর পর মোদিই প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে গিয়েছিলেন। সেখানেও তিনি গোঁড়ামি ভুলে ধর্মনিরপেক্ষতার বার্তা দেন।