নিরুফা খাতুন: বাংলার দিকে সরাসরি ধেয়ে না এলেও ঘূর্ণিঝড় মোকা পরোক্ষ প্রভাব ফেলবে এ রাজ্যে। বুধবার এমনটাই জানানো হল আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। আর সেই কারণেই মৎস্যজীবীদের সতর্ক করা হয়েছে।
এদিন হাওয়া অফিসের তরফে বলা হয়, আজ বিকেলের মধ্যে নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। ঘূর্ণিঝড় মোকা দিক পরিবর্তন করে বাংলাদেশ মায়ানমার ও উপকূলের দিকে চলে যাবে। তবে এর পরোক্ষ প্রভাব পড়বে বাংলায়। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর উত্তাল হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত বাংলা-ওড়িশা উপকূলে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। যাঁরা সমুদ্রে রয়েছেন, তাঁদের বৃহস্পতিবার বিকেলের মধ্যে উপকূলে ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কলকাতায় জলীয় বাষ্প কমবে বলে আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। গরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়া চলবে আগামী তিনদিন। তাপমাত্রা থাকবে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। শুক্রবার পর্যন্ত বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। কলকাতায় তাপমাত্রার সর্বনিম্ন রেকর্ড ২৯.১ ডিগ্রি। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮.৯ ডিগ্রি।
[আরও পড়ুন: অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর কাছে ফেরা হল না, ভিড়ের চাপে ট্রেন থেকে পড়ে মৃত যুবক]
এর পাশাপাশি আজ এবং আগামী কাল দক্ষিণবঙ্গের বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, হুগলি, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতেও গরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়া বজায় থাকবে। উত্তরবঙ্গের মালদহ এবং দক্ষিণ দিনাজপুরেও তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা। শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গের ৮ জেলায় তাপপ্রবাহের পূর্ভাবাস দিয়েছেন আবহবিদরা। বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, নদিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় চলবে তাপপ্রবাহ। বাকি জেলাতে গরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়া।
শুক্রবার থেকে আবহাওয়া ধীরে ধীরে বদলাবে। কোথাও কোথাও আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে এবং শনি ও রবিবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে। উপকূলের জেলাগুলিতে হালকা বাতাস ও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। আবার উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং ও জলপাইগুড়িতে আগামী ২৪ ঘণ্টায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে।