সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিক্ষার আলো নাকি ঘোচায় সন্ত্রাসের অন্ধকার! ওসামা বিন লাদেন থেকে শুরু করে হাফিজ মহম্মদ সইদের শিক্ষাগত যোগ্যতাই প্রমাণ করে এই প্রবাদ কতটা ঠুনকো। সোমবার রাজধানী দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশ থেকে ধৃত ইসলামিক স্টেটের তিন জঙ্গিই ইঞ্জিনিয়ার। একজন আবার পিএইচডি করছে।
সোমবার দিল্লি পুলিশের (Delhi Police) হাতে ধরা পড়ে আইএস (ISIS) জঙ্গি মহম্মদ শাহনওয়াজ। রাজধানীর জইতপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। লখনউ ও মোরাদাবাদ থেকে পাকড়াও করা হয় মহম্মদ রিজওয়ান আশরফ ও মহম্মদ আরশাদ ওয়ারসি। এদিন দেশের ৬০টি জায়গায় ব্যাপক তল্লাশি শুরু করে এনআইএ। দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের অফিসার এইচজিএস ধালিওয়াল জানান, দেশজুড়ে একাধিক বিস্ফোরণ ও নাশকতায় জড়িত রয়েছে ধৃতরা। বোম বানানোয় দক্ষ এরা।
[আরও পড়ুন: বাড়িওয়ালা-ভাড়াটে ঝামেলার পরেই নিখোঁজ, একদিন পর ট্রাঙ্কে মিলল ৩ বোনের মৃতদেহ]
পুলিশ সূত্রে খবর, ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগের বাসিন্দা শাহনওয়াজ মাইনিং ইঞ্জিনিয়ার। তাই বিস্ফোরণ ঘটানোর সব সুলুকসন্ধান তার জানা। একই রাজ্যের বাসিন্দা মহম্মদ আরশাদ ওয়ারসি আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বি টেক ডিগ্রিধারী। দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ায় গবেষণারত। উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা মহম্মদ রিজওয়ান আশরফ কমপিউটার সায়েন্সে বি টেক। এদের নিয়ন্ত্রণ করা হত পাকিস্তান থেকে।
মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) আইসিস আদর্শকে ছড়িয়ে দিতে বিশেষ মডিউল তৈরি করছিল শাহনওয়াজ। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার শাহনওয়াজের সঙ্গী ছিল রিজওয়ান আবদুল হাজি আলি, আবদুল্লা ফৈয়াজ শেখ ও তালহা লিয়াকত খান। পুণেকে (Pune) কেন্দ্র করে গোটা দেশে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালানোর পরিকল্পনা ছিল এই চার জঙ্গি নেতার। এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে ভারতে ইসলামিক রাষ্ট্র গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়েই এগোচ্ছিল তারা।