ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: করোনা আবহে ব্যাংকিং পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার পাশাপাশি কর্মীদের সুরক্ষিত রাখতে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন। সোমবার জানিয়ে দেওয়া হল, এবার থেকে সপ্তাহে দু’দিন করে বন্ধ রাখা হবে সমস্ত ব্যাংক। একইসঙ্গে কমানো হল গ্রাহক পরিষেবার সময়ও।
এদিন নবান্নের তরফে জানানো হয়, বাংলার সরকারি এবং বেসরকারি সমস্ত ব্যাংক এবার থেকে শনি ও রবিবার বন্ধ থাকবে। সপ্তাহে মোট পাঁচদিন ব্যাংকের কাজ হবে। এর আগে মাসের দ্বিতীয় ও চতুর্থ সপ্তাহের শনিবার ছুটি পেতেন কর্মীরা। তবে এবার প্রতি সপ্তাহেই পাঁচদিন করে কাজ হবে। একইসঙ্গে গ্রাহক পরিষেবার সময়ও কমিয়ে দেওয়া হল। এখন থেকে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত পরিষেবা পাবেন গ্রাহকরা।
করোনা আবহে স্কুল-কলেজ, অফিস-কাছারি, আদালত বন্ধ থাকলেও ব্যাংক কর্মীরা আগের মতোই গ্রাহকদের সেবা দিয়ে চলেছেন। লকডাউনেও বদলায়নি ব্যাংক পরিষেবার নিয়ম। এতদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্তই পরিষেবা দিতেন কর্মীরা। কিন্তু এবার সংক্রমণের উর্ধ্বমুখী গ্রাফ দেখে কড়া হচ্ছে প্রশাসন। সমস্ত কাজ সেরে যাতে ব্যাংক কর্মীরা আরও তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরতে পারেন, সে কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা যাচ্ছে। তাছাড়া যত সংখ্যক কম মানুষ বাড়ির বাইরে থাকবেন, সংক্রমণের সম্ভাবনাও ততই কমবে।
[আরও পড়ুন: খাবারে বিষক্রিয়া নাকি অন্য কিছু? বীরভূমে শিশুমৃত্যুর ঘটনায় এখনও অধরা কারণ]
গোটা রাজ্যে ক্রমেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে করোনার (Coronavirus) সংক্রমণ। গোষ্ঠী সংক্রমণ এখনও শুরু হয়নি। দিন দুয়েক আগে একথা বললেও সোমবার নবান্ন স্বীকার করে নিয়েছে যে রাজ্যেও গোষ্ঠী সংক্রমণ (Community Transmission) শুরু হয়ে গিয়েছে। আর সেই কারণেই নয়া লকডাউন নীতির কথা ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। এবার থেকে প্রতি সপ্তাহে দু’দিন করে রাজ্যে সম্পূর্ণ লকডাউন থাকবে। চলতি সপ্তাহে বৃহস্পতিবার ও শনিবার রাজ্যজুড়ে সম্পূর্ণ লকডাউন জারি থাকবে। তবে কোন সপ্তাহে কবে লকডাউন হবে তা প্রতি সপ্তাহে সাংবাদিক বৈঠক করে ঘোষণা করা হবে। পাশাপাশি রাজ্যবাসীর সাহার্যার্থে একটি হেল্প লাইন (HelpLine Number) নম্বরও চালু করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: বাংলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক রাজ্যপালের]
The post সংক্রমণ রুখতে ব্যাংক নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত রাজ্যের, জেনে নিন গ্রাহক পরিষেবার নয়া নিয়ম appeared first on Sangbad Pratidin.