সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জিসকা স্পিকার, উসকি সরকার। অর্থাৎ কেন্দ্রে যে দল ক্ষমতায়, তাদের প্রতিনিধিই স্পিকার হবেন। এ যেন এক অলিখিত নিয়ম। কিন্তু এবার কি সেই নিয়ম বজায় থাকবে? পরিস্থিতি যে বেশ জটিল। সোমবার মন্ত্রক বণ্টনে দেখা গিয়েছে 'বিগ ৪' তো বটেই অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকও বিজেপির হাতেই। কিন্তু স্পিকারও কি তাদের প্রার্থীই হবেন? নাকি শরিকি চাপ ফ্যাক্টর হয়ে উঠবে?
এনডিএ-তে বিজেপির পরই সবচেয়ে বেশি সাংসদ টিডিপির। যা অনেককেই ১৯৯৯ সালের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। সেবার অটলবিহারী বাজপেয়ী সরকারের পতন হয়েছিল মাত্র একটি ভোটের জন্য। সেই নির্ণায়ক ভোট দিয়েছিলেন ওড়িশার কংগ্রেস সাংসদ গিরিধর গামাং। অথচ কয়েকদিন আগেই তিনি ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন। তবু তাঁকে ভোট দিতে দিয়েছিলেন তৎকালীন স্পিকার (Speaker)। টিডিপির বালাযোগী। সেদিন তাঁর সিদ্ধান্তের কারণেই পতন হয়েছিল বাজপেয়ী সরকারের। এই বালাযোগীকে স্পিকার করা হয়েছিল চন্দ্রবাবু নাইডুর প্রস্তাবে। পঁচিশ বছর পরে ফের সেই টিডিপিই স্পিকারের পদে নিজেদের প্রার্থীকে নিয়োগ করতে চাইছে। সেই চন্দ্রবাবু, সেই বিজেপি। ইতিহাস এভাবেই ফিরে ফিরে আসে।
[আরও পড়ুন: শেয়ার বাজারে বড়সড় দুর্নীতি! মোদি-শাহের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবিতে সেবির দ্বারস্থ তৃণমূল]
রাজনৈতিক মহলের অনুমান, জোড়াতাপ্পির এনডিএ সরকারে ভবিষ্যতে যদি চন্দ্রবাবু নাইডু ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গে হাত মেলায় সেক্ষেত্রে স্পিকার পদ তাদের হাতে থাকলে সমস্যায় পড়তে হতে পারে মোদি-শাহদের। পরবর্তী সময়ের কথা মাথায় রেখেই স্পিকার পদ নিয়ে টিডিপির সঙ্গে দড়ি টানাটানি শুরু হয়েছে বিজেপির (BJP)। গেরুয়া শিবিরের তরফে স্পিকার পদের মুখ হিসেবে উঠে এসেছেন দগ্গুবতী পুরন্দেশ্বরী। অন্যদিকে টিডিপিও (TDP) চাপ দিচ্ছে। লড়াইয়ে রয়েছেন নীতীশ কুমারও। আসলে টিডিপি বা জেডিইউ চাইছে স্পিকার পদে নিজেদের প্রার্থী রেখে 'ইনশিওরেন্স' করিয়ে ফেলতে। অর্থাৎ আগামী দিনে যদি তাঁদের দলের সাংসদদের বিজেপি ভাঙিয়ে নিতে চায়, তাহলে দলবিরোধী আইনে তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পারবেন স্পিকার।
বলা হচ্ছে, ১৮ ও ১৯ তারিখ হতে পারে নতুন সাংসদদের শপথগ্রহণ। ২০ জুন স্পিকার নির্বাচনের সম্ভাবনা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শেষপর্যন্ত জল কোথায় দাঁড়ায় সেদিকেই নজর ওয়াকিবহাল মহলের।