সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “সিএএ (CAA) নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার নয়, নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন। মুসলিমদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও কারণ নেই।” দেশজুড়ে সিএএ কার্যকর করার পর তাকে স্বাগত জানিয়ে বার্তা দিলেন অল ইন্ডিয়া মুসলিম জামাত (All India Muslim Jamaat) সংগঠনের প্রধান মৌলানা মুফতি সাহাবুদ্দিন রজভি বারেলভি (Maulana Shahabuddin Razvi Bareilvi)।
সোমবার রাতে দেশজুড়ে সিএএ কার্যকর করেছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। এর পরই বিরোধী শিবিরের অভিযোগ, দেশের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তির উপর আঘাত এই আইন। সরাসরি এই আইনের বিরোধিতায় সরব হয়েছে একাধিক বিরোধী রাজনৈতিক দল। সিএএ নিয়ে তুমুল চর্চার মাঝেই সিএএ আইন সমর্থন করে বার্তা দিলেন রজভি। তিনি বলেন, “এই আইন অনেক আগেই কার্যকর করা উচিত ছিল ভারত সরকারের। কিন্তু সত্যিটা না বুঝে কিছু মানুষের তীব্র বিরোধিতায় তা সম্ভব হয়নি। অবশেষে তা কার্যকর হয়েছে। সব মুসলিমদের উচিত এই আইনকে সমর্থন করা।”
[আরও পড়ুন: অবশেষে কার্যকর CAA, কী এই আইন? কেন এনিয়ে এত বিতর্ক?]
রজভি আরও বলেন, “এই আইন বিশদে পড়ার পর আমার কাছে স্পষ্ট যে, সিএএ-এর সঙ্গে মুসলিমদের কোনও সম্পর্ক নেই। আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ থেকে এসে যারা ভারতে বসবাস করছেন তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য এই আইন। এই আইনে ভারতে বসবাসকারী কোটি কোটি মুসলিমদের নাগরিকত্ব নিয়ে কোনও প্রশ্ন তোলা হচ্ছে না। শত শত বছর ধরে ভারতে মুসলিমরা বসবাস করছেন। তাঁদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া সম্ভব নয়। যারা মুসলিমদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে বলে ভয় দেখাচ্ছেন, তাঁদের আইনটি পড়ে নেওয়া উচিত। না জেনে কথা বলা ঠিক নয়। তাতে মুসলিমরা আতঙ্কিত হবেন এবং দেশে অরাজকতা তৈরি হবে।” একইসঙ্গে বিরোধীদের আক্রমণ করে ওই মুসলিম নেতা বলেন, “কিছু রাজনীতিক মুসলিম ভোট পাওয়ার জন্য অবান্তর মিথ্যা বয়ান দিচ্ছেন। তাতে লাভ কিছু হবে না। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনেক বদলে গিয়েছে।”
[আরও পড়ুন: সিএএ চালু হতেই অসমে বিক্ষোভের আগুন, রাজ্যজুড়ে হরতালের ডাক, পালটা হুঁশিয়ারি হিমন্তের]
পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তানে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে ভারতে আসা অ-মুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দিতেই আনা হয় সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)। ২০১৯ সালে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ হলেও বিধি নিয়ে জট থাকায় তা এতদিন বলবৎ করা যায়নি। সোম সন্ধ্যায় গেজেট নোটিফিকেশন জারি করে অবশেষে তা কার্যকরী করেছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। লোকসভা ভোটের আবহে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মতুয়া গড়ে আনন্দোৎসবের পাশাপাশি অসমের আকাশে জমেছে প্রতিবাদের মেঘ গাঢ় হচ্ছে। এহেন পরিস্থিতির মাঝেই সিএএ’কে সমর্থন করে বার্তা দিলেন অল ইন্ডিয়া মুসলিম জামাত সংগঠনের প্রধান।