সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের মালকিন প্রীতি জিন্টা বাকযুদ্ধে জড়িয়েছিলেন দলের মেন্টর বীরেন্দ্র শেহবাগের সঙ্গে। পরিস্থিতি নাকি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল যে চলতি মরশুমের শেষে পাঞ্জাব ছাড়ার পরিকল্পনাও নাকি করে ফেলেছিলেন বীরু। এমন খবর ছড়িয়ে পড়ার পরই ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামল পাঞ্জাব ফ্র্যাঞ্চাইজি। সমস্ত খবরকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করে ম্যানেজমেন্টের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল প্রীতি ও শেহবাগের মধ্যে সম্পর্ক বেশ ভালই আছে।
ঘটনা রাজস্থানের বিরুদ্ধে পাঞ্জাব ম্যাচের পরের। একটি সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, রাজস্থানের কাছে হারের পর ক্রিকেটাররা ডাগ-আউটে পৌঁছানোর আগেই শেহবাগের কাছে যান প্রীতি। সেই ম্যাচে করুণ নায়ার, মনোজ তিওয়ারির মতো ব্যাটসম্যান থাকতেও অধিনায়ক রবিচন্দ্রন অশ্বিন তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামেন। শূন্য রানেই ফিরতে হয় তাঁকে। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মেন্টর হিসেবে শেহবাগ এমন সিদ্ধান্ত কেন নিয়েছিলেন, তা তাঁর থেকে জানতে চান প্রীতি। শেহবাগ ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করলেও প্রীতি তাতে সন্তুষ্ট হননি। তারপরই দু’জনের মধ্যে বাদানুবাদ শুরু হয় বলে খবর। আর তারপরই জোরাল হয় শেহবাগের দল ছাড়ার সিদ্ধান্তের জল্পনা। তবে এই খবরকে নেহাত রটনা বলেই ব্যাখ্যা করছেন ফ্র্যাঞ্চাইজির কর্মকর্তারা।
[ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে প্রকাশ্যে কাটাছেঁড়া চলছে লাগাতার, অস্বস্তিতে কোহলি]
দলের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়, “কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের তরফে আমরা পরিষ্কার করে দিতে চাই, প্রতিটি ম্যাচের পরই ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স নিয়ে মাঠে ও মাঠের বাইরে আমাদের আলোচনা হয়। খেলার খুঁটিনাটি ভুল-ত্রুটি শুধরে নেওয়ার জন্যই এ ধরনের আলোচনা হয়ে থাকে। পরবর্তী ম্যাচে যাতে সে ভুল আর না হয়, সে কারণেই সকলের সঙ্গে কথাবার্তা বলা হয়। আমাদের দলের সংস্কৃতিই হল, ভাল ফলের স্বার্থে জুনিয়র সিনিয়র নির্বিশেষে প্রত্যেকেই নিজেদের মতামত রাখেন। এবং তা সমান গুরুত্ব পায়। আর সেটাকেই সকলের সামনে অন্যভাবে তুলে ধরা হয়েছে। যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এ আমাদের দলের এবং আইপিএলের ভাবমূর্তি নষ্ট করা ছাড়া আর কিছুই না। গোটা বিষয়টি সংবাদমাধ্যম যেভাবে ব্যাখ্যা করেছে, তা দেখে বেশ বিরক্তই হয়েছিলেন প্রীতি জিন্টা। টুইটারে লিখেছিলেন, মিডিয়া তাঁকে ভিলেন হিসেবে তুলে ধরছে। একটি সংবাদমাধ্যমের নাম উল্লেখ করে বলিউড অভিনেত্রী লেখেন, “ওদের আমরা অর্থের বিনিময়ে কোনও প্রতিবেদন লিখতে বলি না। সেই কারণেই এমনটা করেছে ওরা। আমার আর বীরুর কথোপকথনে রং চড়ানো হয়েছে। আর তাতে হঠাৎ আমিই ভিলেন হয়ে গেলাম। বাঃ! ফেকনিউজ।”
[ধোনির চেন্নাইয়ের জন্য গান গাইলেন ঢিনচ্যাক পূজা, নেটদুনিয়ায় ভাইরাল ভিডিও]
গত দশটি মরশুমে একবারও ট্রফির মুখ দেখেনি প্রীতির দল। তবে এবার অনেকটা ভাল জায়গাতেই রয়েছে দল। শনিবার কেকেআরের কাছে হারলেও লিগ তালিকার তিন নম্বরেই রয়েছে আরা। এমন অবস্থায় দলের আত্মবিশ্বাসে যাতে কোনও চিড় না ধরে, তাই সবদিক থেকেই দলকে রক্ষা করে চলেছেন ফ্র্যাঞ্চাজির কর্তারা।
The post প্রীতি-শেহবাগের মধ্যে কোনও বিবাদ নেই, সাফাই পাঞ্জাব ফ্র্যাঞ্চাইজির appeared first on Sangbad Pratidin.