বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: বামেদের সঙ্গে জোট অক্ষত রয়েছে। উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হলেই জোট শরিকদের সঙ্গে কথাবার্তা শুরু করা হবে বলে জানালেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। সেক্ষেত্রে ভবানীপুরে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রার্থী না দেওয়ার বিষয়টি আলোচনায় আসবে বলেও ইঙ্গিত মেলে অধীরের বক্তব্যে।
শনিবার মহাজাতি সদনে ছাত্র পরিষদের (Chatra Parishad) প্রতিষ্ঠা দিবসে অধীর তৃণমুলের (TMC) বিরুদ্ধে একটি শব্দও উচ্চারণ না করলেও সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থা বিলগ্নিকরণের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করতে গিয়ে তৃণমূলের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে দীর্ঘ কয়েকবছর পর মহাজাতি সদনে প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান করার অনুমতি পায় ছাত্র পরিষদ। তবে বাম আমলেও এই অনুষ্ঠান করতে সরকারি তরফে বাধা আসত বলে জোট শরিক সিপিএমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য (Pradip Bhattacharya)। সেইসঙ্গে তৃণমূলকেও নিশানা করেন তিনি। জানান, কংগ্রেস শূন্য হয়েছে। দুর্বল হয়েছে। কিন্তু মরে যায়নি। রাজ্যের শাসকদল কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামবে কিনা কারর জানা নেই। তবে কংগ্রেস রাস্তায় নামবে বলে জানান তিনি।
[আরও পড়ুন: রবিবারই তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন প্রয়াত সোমেন মিত্রর স্ত্রী শিখা মিত্র, ছেলে রোহনকে নিয়ে ধোঁয়াশা]
এদিন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হন কংগ্রেস (Congress) সংসদীয় দলের নেতা অধীর চৌধুরীও। তাঁর দাবি, লকডাউনের জেরে ২৫ কোটি পড়ুয়া স্কুলছুট হয়েছে। শুধুমাত্র মোবাইল ও ল্যাপটপ না থাকার কারণে। উপনির্বাচন (West Bengal By-Election) প্রসঙ্গে অধীরের মত, কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে একবার নির্বাচন করে কী হয়েছে সকলেই জানে। বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে তবেই কমিশনের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিৎ বলে মনে করেন তিনি। তবে উপনির্বাচন নিয়ে কংগ্রেসের অবস্থান, এদিনও পুরোপুরি স্পষ্ট করলেন না অধীর।
[আরও পড়ুন: ‘প্রতি বছর মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে কাজের সুযোগ পাবে পড়ুয়ারা’, TMCP প্রতিষ্ঠা দিবসে নতুন ঘোষণা মমতার]
সিলেবাস থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও মহাশ্বেতাদেবীকে বাদ দেওয়ার তীব্র প্রতিবাদ করেন প্রাক্তন ছাত্রনেতা অমিতাভ চক্রবর্তী। এদিন অনুষ্ঠানে ছিলেন কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের সর্বভারতীয় সভাপতি নীরজ কুন্দন ও প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি শুভঙ্কর সরকার, প্রাক্তন বিধায়ক অসিত মিত্র।