বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: শুধু দাবি করলেই হবে না। তার আগে রাজ্যে নিজেদের শক্তি প্রমাণ করতে হবে। তবেই বামেদের (Left front) সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা হবে। প্রদেশ কংগ্রেসের চার শীর্ষনেতাকে সাফ জানিয়ে দিয়ে গেলেন সভাপতি অধীর চৌধুরি (Adhir Ranjan Chowdhury)। শুক্রবার জোট ও ভবিষ্যৎ কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করতে বিধানভবনে চার শীর্ষনেতার সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেন প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরি। খুব শীঘ্রই তিনি বাম নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান। তাই বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান ও সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্যকে দায়িত্ব দিয়েছেন আলিমুদ্দিনের সঙ্গে কথা বলে দিনক্ষণ ঠিক করার।
কংগ্রেস হাইকমান্ড বামেদের সঙ্গে জোট করে বিধানসভা ভোটে লড়াইয়ের পক্ষপাতী। সেক্ষেত্রে কোনও আপত্তি দলে গ্রাহ্য হবে না। হাইকমান্ডকে ঢাল করে দলের বিক্ষুব্ধদের এমনই বার্তা দিলেন অধীর চৌধুরি। একক শক্তিতে লড়তে গেলে অনেক বিধায়কই আর বিধানসভায় ফেরার অবস্থায় নেই। তাই বামেদের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে জয়ের ফসল ঘরে তুলতে হবে। নইলে মুখ থুবড়ে পড়তে হবে। এমনই দাবি অধীরের।
[আরও পড়ুন: কর্মিসভা থেকে মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘অপদার্থ’ বলে কটাক্ষ, ফের বিতর্কে অনুব্রত]
যেহেতু অধিকাংশ সময় তাঁকে দিল্লিতে থাকতে হচ্ছে, তাই বামেদের সঙ্গে জোট নিয়ে আলোচনার দিনক্ষণ ঠিক হলে তিনি সেইমতো উপস্থিত হয়ে বৈঠকে যোগ দেবেন বলে জানিয়ে দেন। তবে আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনায় বসে অযৌক্তিক সংখ্যা দাবি করলেই হবে না। সেক্ষেত্রে রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে নিজেদের অস্তিত্বের প্রমাণ দিতে হবে। তাই যৌথ আন্দোলনের পাশাপাশি কংগ্রেসকে একক ভাবে আন্দোলন করারও নির্দেশ দেন তিনি।
বামেদের সঙ্গে জোট নিয়ে বৈঠকে হাজির এক নেতা বিরোধিতার সুর চড়ালে প্রদেশ সভাপতি তাঁকে কার্যত ধমক দিয়ে থামিয়ে দেন বলে বিধানভবন সূত্রে খবর। জানা যাচ্ছে, রাজ্যের কোন আসনে দাঁড়ালে তিনি জিতে আসতে পারবেন এই প্রশ্নের কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি ওই বিক্ষুব্ধ নেতা। এরপরই তাঁকে হাইকমান্ডের নির্দেশ মেনে চলার কথা বলেন অধীর। অধীরের এহেন নির্দেশ দলের অন্দরে জোট বিরোধীদের উদেশে স্পষ্ট বার্তা বলেই মনে করছে রাজ্য নেতৃত্ব। প্রসঙ্গত, বৈঠক শেষ হতেই প্রয়াত প্রদেশ সভাপতি সোমেন মিত্রর বাড়ি গিয়ে তাঁর স্ত্রী ও পুত্রর সঙ্গে দেখা করেন নয়া প্রদেশ সভাপতি।