সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতরত্নদের বিনামূল্যে বিমানযাত্রার সুবিধা দেয় সরকার। কিন্তু এই মুহূর্তে যে কয়েকজন ভারতরত্ন জীবিত আছেন, তাঁদের মধ্যে একমাত্র অমর্ত্য সেনই (Amartya Sen) নেন সেই সুবিধা। শচীন তেণ্ডুলকর (Sachin Tendulkor) বা লতা মঙ্গেশকরের মতো অন্য ‘ভারতরত্ন’রা ভারতরত্ন হওয়া সত্ত্বেও বিনামূল্যে বিমানযাত্রার সুবিধা নেন না। সম্প্রতি এক RTI-এর উত্তরে এমনটাই জানিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া।
২০০৩ সালে অটলবিহারী বাজপেয়ীর আমলে ভারতরত্নদের (Bharat Ratna) জন্য বিনামূল্যে বিমানযাত্রার এই সুবিধা চালু করা হয়। RTI-এর জবাবে এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, বিশিষ্টজনেদের নিজেদের ক্ষেত্রে সুবিশাল সাফল্যকে স্বীকৃতি দিতেই সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ‘ভারতরত্ন’দের শুধু যে বিমানের টিকিট বিনামূল্যে দেওয়া হয় তাই নয়, সঙ্গে যা যা কর বা শুল্ক সরকার নেয়, সেটাও বহন করে বিমানসংস্থাই। আর ‘ভারতরত্ন’ প্রাপকদের টিকিটও দেওয়া হয় সর্বোচ্চ ক্লাসের। প্রথমে ইকোনমি ক্লাসে টিকিট দেওয়া হলেও পরে তা এক্সিকিউটিভ ক্লাসে উন্নীত করা হয়।
[আরও পড়ুন: জুলাই-আগস্টে প্রতিদিন এক কোটি মানুষের টিকাকরণ, আশার কথা শোনাল কেন্দ্র]
এখনও পর্যন্ত সব মিলিয়ে ভারতের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান পেয়েছেন ৪৮ জন। এদের মধ্যে ১৪ জনকে দেওয়া হয়েছে মরণোত্তর ‘ভারতরত্ন’ সম্মান। বাকি ৩৪ জনের মধ্যে জীবিত আছেন অমর্ত্য সেন, শচীন তেণ্ডুলকর, লতা মঙ্গেশকর এবং সিএনআর রাও (C N R Rao)। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, এই চারজনের মধ্যে একমাত্র অমর্ত্য সেনই ভারত সরকারের দেওয়া বিনামূল্যে বিমানভাড়ার সুবিধা নিয়েছেন। তিনি অমর্ত্য সেন। ২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত মোট ২১বার এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) বিমানে বিনামূল্যে যাত্রা করেছেন তিনি। যদিও, এই চার বছরে অমর্ত্য সেনের বিমানভাড়া বাবদ এয়ার ইন্ডিয়ার কত খরচ হয়েছে, সে হিসেব জানানো হয়নি। সংস্থাটি জানিয়েছে, ওই সময়ের বিমানভাড়ার সঠিক হিসেব না পাওয়া যাওয়ায় মোট খরচের হিসেব মিলছে না। প্রসঙ্গত, নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পরই অমর্ত্য সেনকে ভারতরত্নে সম্মানিত করে কেন্দ্র। তারপর অটলবিহারীর আমলে এই বিশেষ সুবিধা পান তিনি।