তারক চক্রবর্তী, শিলিগুড়ি: অভিনব কায়দায় গাঁজা পাচারের ছক শিলিগুড়িতে। অ্যাম্বুল্যান্সের মধ্যে কফিনে ভরে গাঁজা পাচার করছিল পাচারকারীরা। পুলিশকে বোকা বানাতে এক মহিলা পাচারকারীকে মৃতের নিকটাত্মীয়ের পরিচয় দিয়ে বসানো হয়েছিল অ্যাম্বুল্যান্সের ভিতরে। তবে পাচারকারীদের ছক বানচাল করল রাজ্য পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) আধিকারিকরা।
মঙ্গলবার দুপুরে কফিনের ভিতরে থাকা ৬৪ কেজি গাঁজা বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি এক মহিলা-সহ চার পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করল এসটিএফ। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে অ্যাম্বুল্যান্সটিকেও। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম সমীর দাস,অপূর্ব দে,পাপ্পু মোদক ও সরস্বতী দাস। তাঁদের প্রত্যেকের বাড়ি কোচবিহার জেলার দিনহাটাতে। ধৃতদের মধ্যে সমীর দাস ওই অ্যাম্বুল্যান্সের মালিক ও চালক। অপূর্ব দে দিনহাটায় গৃহশিক্ষকতার কাজ করে। অ্যাম্বুল্যান্সের ভিতরে ১৮টি প্যাকেটে একটি মৃতদেহের কফিন থেকে ৬৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘সম্পর্ক ভাঙতে চেয়েছিল’, প্রেমিকাকে ২০ বার কুপিয়ে খুন করেও অনুতাপহীন ধৃত সাহিল! ]
প্রাথমিক তদন্তে এদসটিএফ জানতে পেরেছে পুটিমারী, দিনহাটার বাসিন্দা জনৈক অমল নামের চক্রের এক সদস্য এবং আটক অভিযুক্ত সমীর দাস বাকি তিনজনকে ত্রিপুরার আগরতলা থেকে বিহারে গাঁজা পাচারের কাজে লাগিয়েছিল। বিহারের বেগুসরাইতে বাজেয়াপ্ত গাঁজা পাঠানো হচ্ছিল। তবে তার আগেই এসটিএফের অভিযানে পর্দা ফাঁস হয়ে যায় এই চক্রের। এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, পাচারকারীদের থেকে বিহারে থাকা চক্রের বেশকিছু সদস্যের মোবাইল নম্বর নেওয়া হয়েছে। নিউ জলপাইগুড়ি থানায় ধৃতদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।