সৌরভ মাজি, বর্ধমান: ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের পালসিট টোলপ্লাজার এক কর্মীকে অপহরণের চেষ্টা ও মারধরের ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে মেমারি থানার পুলিশ। ধৃতরা হল শেখ ইনসান ও শেখ রবিউল। শনিবার ধৃতদের বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়। বিচারক ধৃতদের ১০ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। ওই টোল প্লাজার জখম কর্মী আনন্দমোহন সিংকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়।
সম্প্রতি ওই টোল প্লাজার এক অ্যাম্বুল্যান্স চালকের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ করেছিলেন আনন্দমোহন। সেই কারণে ওই অ্যাম্বুল্যান্স চালককে সরিয়ে দেয় টোলপ্লাজার বরাতপ্রাপ্ত সংস্থা। সেই আক্রোশবশত ওই অ্যাম্বুল্যন্স চালক এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
টোল প্লাজার ম্যানেজার রাজকুমার গুপ্তা জানান, টোলের আইটি বিভাগের কর্মী আনন্দ। শুক্রবার রাতে পাল্লারোডের একটি মুদিখানার দোকানে জিনিসপত্র কিনতে যাচ্ছিলেন। সেই সময়ে একটি কালো রঙের গাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়। পরে স্থানীয়রা জানতে পারায় তাঁকে রাস্তায় ফেলে পালায়। জখম কর্মীর দাদা মনমোহন প্রতাপ সিংও ওই টোলে কাজ করেন। তিনি জানান, তাঁর ভাইকে তুলে নিয়ে গিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিল। জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগে করিম শেখ নামে এক অ্যাম্বুল্যান্স চালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিলেন আনন্দ মোহন। করিম শেখ ঠিকমতো ডিউটি করতেন না, প্রয়োজনের সময় ডাকলে তাঁকে পাওয়া যেত না-সহ বিভিন্ন অভিযোগ জমা পড়েছিল। সেই কারণে টোল প্লাজার বরাত প্রাপ্ত সংস্থা করিমকে সরিয়ে দেয়।
পুলিশ জানতে পেরেছে, সেই কারণে করিমের রাগ জন্মায় আনন্দমোহনের উপর। তাই আনন্দমোহনের উপর হামলা হয়ে থাকতে পারে। বর্ধমান সদর দক্ষিণের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অভিষেক মণ্ডল জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকিদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। তবে অপহরণ করা হয়নি বলেই পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে।