সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশের পর এবার মানুষখেকো চিতাবাঘের আতঙ্কে তটস্ত উত্তরাখণ্ড। গত চার মাসে তেহরি জেলায় চিতার হামলায় ৪ পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হল একাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়। চলতি সপ্তাহেই চিতার হামলায় মৃত্যু হয়েছে ১৩ বছরের এক কিশোরীর। এর পরই পড়ুয়াদের কথা মাথায় স্কুল খুলে রাখার ঝুঁকি নিতে নারাজ শিক্ষকরা।
জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, গত ৪ মাসে চিতাবাঘের হামলায় ৪জন পড়ুয়ার মৃত্যুতে ভোদগাঁও, ফুয়ালগাঁও, মাহারগাঁও এবং আন্থালগাঁওয়ের চারটি স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রথমে তিনদিনের জন্য স্কুলগুলি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে অভিভাবকরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, যতদিন না নরখাদক চিতা ধরা পড়ছে ততদিন তাঁরা বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাবেন না। এর পরই অনির্দিষ্টকালের জন্য স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন জেলা প্রশাসন। পাশাপাশি প্রশাসনের তরফে না জানানো পর্যন্ত স্কুলের পরীক্ষাও বন্ধ রাখা হয়েছে।
তবে প্রাথমিক স্কুল বন্ধ করা হলেও সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়গুলি খোলা রাখা হয়েছে। তবে পড়ুয়াদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে প্রচুর সংখ্যায় বনদপ্তরের কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি চিতাবাঘ ধরার জন্য বেশ কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে তল্লাশি শুরু করেছে বন বিভাগ। ড্রোনের মাধ্যমে তল্লাশির পাশাপাশি নামানো হয়েছে শ্যুটার। উল্লেখ্য, এর আগে চিতাবাঘের উপদ্রবের জেরে গত সেপ্টেম্বর মাসে ৯টি স্কুল বন্ধ করা হয়েছিল পৌরি জেলার দ্বারিখাল ব্লকে। দেরাদুনে এফআরআই ক্যাম্পাস ৫ দিনের জন্য বন্ধ রাখা হয় এলাকায় চিতাবাঘের দেখা মেলায়।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসে দেশের নানা প্রান্তে চিতাবাঘের হামলার খবর পাওয়া গিয়েছে। রাজস্থানের উদয়পুরে চিতাবাঘের হামলায় চলতি মাসে ৩ জনের মৃত্যু হয়। উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরিতে চলতি মাসে ২জনের মৃত্যু হয় চিতার হামলায়। মধ্যপ্রদেশেরও নরখাদক চিতার হানায় মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। এসবের মাঝে নতুন করে উদ্বেগ বাড়ছে উত্তরাখণ্ডে।