সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে মহানায়ক পুরস্কার পেয়েই নেটপাড়ার চর্চায় অঙ্কুশ হাজরা। মঙ্গলবার সন্ধের পর থেকেই সরগরম নেটদুনিয়া। অনির্বাণ ভট্টাচার্যের পুরস্কার পাওয়া নিয়ে যেমন ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নেটিজেনরা, তেমন অঙ্কুশের ক্ষেত্রেও ছেড়ে কথা বলেননি কেউ! তুমুল সমালোচনা হতেই ‘মহানায়ক’ সম্মান গ্রহণের নেপথ্যের কারণ জানিয়েছিলেন অভিনেতা। তবে সেখানেও খোঁচা খেতে হল অঙ্কুশকে।
২৪ জুলাই, উত্তম কুমারের প্রয়াণ দিবসে একঝাঁক টলিউড তারকাকে ‘মহানায়ক’ সম্মানে ভূষিত করেছেন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই তালিকায় যেমন কোয়েল মল্লিক, শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়রা রয়েছেন, তেমনি পঞ্চায়েত নির্বাচন অশান্তি নিয়ে রাজ্যের শাসকদলকে কাঠগড়ায় তোলা অনির্বাণ ভট্টাচার্যও রয়েছেন। একুশের বিধানসভা ভোটে বিজেপিতে ক্ষণিকের রাজনৈতিক কেরিয়ার গড়া শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ও পুরস্কৃত হয়েছেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ‘মহানায়ক’ সম্মানে ভূষিত হয়েছেন অঙ্কুশ হাজরাও। আর সেই প্রেক্ষিতেই এবার নেটপাড়ায় নীতিপুলিশেরা অভিনেতার ‘বোধ-বিবেক’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে পুরস্কার নেওয়ার একাধিক ছবি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছিলেন অঙ্কুশ। পাশাপাশি তিনি জানান, “পুরষ্কার অনুপ্রেরণা জোগায়। তাই গ্রহণ করলাম। প্রচুর পরিশ্রম বাকি নিজেকে এই পুরস্কারের যোগ্য করে তোলার জন্যে। আপাতত আমার মত একজন সামান্য নায়ককে সরকারের তরফ থেকে এই মহানায়ক সম্মানটি দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। নজরের সামনে সাজিয়ে রেখে দেব, যাতে রোজ চোখে পড়লেই নিজেকে বলি-ভাগ্যবান দয়া করে ভগবান বানিয়েছেন… যোগ্যতা পরিশ্রম করে নিজে অর্জন কর।” তবে অঙ্কুশের এমন বিনয়ী পোস্টে চিঁড়ে ভেজেনি! অতঃপর সেখানেও ধেয়ে এল কটাক্ষবাণ।
[আরও পড়ুন: ‘চিৎকার করবে না, আমি বধির নই’, ‘রকি রানি’র প্রিমিয়ারে মেজাজ হারালেন জয়া বচ্চন!]
কেউ বলছেন, ‘দাদা কিছু কিছু ক্ষেত্রে তো লজ্জা থাকা দরকার। উপাধি নিতে লজ্জা করলো না। এটা কেমন যেন পরীক্ষা ভালো না হওয়ায় ক্লাস টিচার এর ফাই-ফর্মাইস খেটে পাস করার মতন।’ আবার কারও কটাক্ষ, ‘চটি চেটে মহানায়ক?’ কেউ বললেন, ‘এবার মনে হচ্ছে রাজনীতিতে নামবে।’