রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: তৃণমূলের ব্যর্থতা নিয়ে প্রচারের চেয়ে বেশি করে সামনে আনতে হবে মোদিসরকারের সাফল্য। শক্তিশালী করতে হবে প্রতিটি বুথ। মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী নিয়ে ভাবার প্রয়োজন নেই, নিজেদের কাজ ঠিকমতো করতে হবে। দু’দিনের রাজ্য সফরে আজ সল্টলেকের ইজেডসিসি’তে মোট চার জেলার কার্যকর্তাদের নিয়ে সাংগঠনিক বৈঠকে একুশের লড়াইয়ের মন্ত্র দিলেন অমিত শাহ (Amit Shah)।
একুশের বিধানসভা ভোটের আগে বঙ্গে গেরুয়া শিবিরের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এসেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বৃহস্পতিবার দিনভর বাঁকুড়ায় রাঢ়বঙ্গের জেলাগুলির সঙ্গে সাংগঠনিক বৈঠকে ব্যস্ত ছিলেন। মাঝে আদিবাসী পরিবারের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সেরে জনসংযোগ করেছেন। তারপর রাতে চলে এসেছেন কলকাতায়। আজ সল্টলেকের ইজেডসিসি-তে (EZCC) কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়ার কার্যকর্তাদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানেই ঘণ্টা দেড়েকের সাংগঠনিক বৈঠকে একুশের প্রচারের মূল মন্ত্র বেঁধে দিলেন তিনি। বললেন, এবারের ভোটে যাতে রিগিং না হয়, তা দেখার দায়িত্ব তাঁর। কার্যকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, ”পাঁচ মাস পরিশ্রম করো, পঞ্চাশ বছর রাজত্ব করবে।”
[আরও পড়ুন: ফের রাজনীতিতে সক্রিয় হচ্ছেন শোভন-বৈশাখী! অমিত শাহর সঙ্গে বৈঠকের পর জল্পনা ]
রাজ্যে বুথস্তরের পরিস্থিতি দেখে অমিত শাহর কড়া নির্দেশ, বুথ শক্তিশালী করতে হবে। প্রতিটি বুথে ৪০ জনের কমিটি করতে হবে। তাঁর কথায়, ”বুথ শক্তিশালী না হলে ক্ষমতায় চলে এলেও ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে না।” এরপরই তিনি বলেন, ”মুখ্যমন্ত্রীর মুখ নিয়ে আপনাদের ভাবতে হবে না। নিজেদের কাজ করে যান।” তাঁর এহেন বার্তা থেকেই স্পষ্ট, এ রাজ্যের ক্ষমতা দখল করতে গেলে আসলে নিজেদের সংগঠনকেই আগে শক্তিশালী করার দিকে জোর দিলেন মোদির ‘ভোট ম্যানেজার’। কারণ, বিধানসভা ভোটে তৃণমূল স্তরের ভোটারই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, তা তিনি বেশ ভালই বোঝেন।