রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: তৃণমূলকে হারাতে হলে নিজেদের সংগঠন বাড়িয়ে নিজেদের শক্তিতেই লড়তে হবে। বিজেপির রাজ্য নেতাদের পষ্টাপষ্টি জানিয়ে গেলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। সূত্রের খবর, শুভেন্দু অধিকারী-সুকান্ত মজুমদারদের উদ্দেশে শাহী বার্তা স্পষ্ট, কেন্দ্রীয় সরকার বা এজেন্সির উপর ভরসা করে বসে না থেকে দলের সংগঠন বাড়াতে হবে। সংগঠনের জোরেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।
মঙ্গলবার দলের ১৫ জন নেতাকে নিয়ে শাহ এবং জেপি নাড্ডা গোপন বৈঠক করেন। সেখানেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্পষ্ট করে দেন, তৃণমূলকে (TMC) হারাতে হলে সংগঠন বাড়ানো ছাড়া কোনও বিকল্প নেই। বস্তুত শাহ বুঝিয়ে দিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকার বা কোনও তদন্তকারী সংস্থার উপরে নির্ভর করে বসে থাকলে লোকসভায় ভালো ফল করা যাবে না। সংগঠন মজবুত করে নিজেদের আসরে নামতে হবে।
[আরও পড়ুন: লোকালয়ে ঢুকে পাঁচিলে বসে রোদ পোহাচ্ছে বাঘ! আতঙ্কে কাঁটা স্থানীয়রা, ভিডিও ভাইরাল]
সূত্রের খবর, এদিন শাহ দলকে লোকসভার (Lok Sabha) রণকৌশল দিয়ে গিয়েছেন। দলের গোষ্ঠীকোন্দল মিটিয়ে যে কোনও প্রকারে ঐক্যবদ্ধ লড়াই করার পরামর্শ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সূত্রের খবর, আগামী লোকসভা নির্বাচনে একাধিক সাংসদের টিকিট পাওয়া নিয়ে এদিন প্রশ্ন উঠেছে বিজেপির বৈঠকে। আবার একাধিক বিধায়ককে টিকিট দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: পাক নির্বাচনে মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রী হাফিজ সইদ! মৌলবাদীদের দখলে যাবে ইসলামাবাদ?]
এদিন বিজেপির (BJP) সোশাল মিডিয়া কর্মীদেরও বিশেষ নির্দেশ দিয়ে গিয়েছেন শাহ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশ, কেন্দ্রের জনমুখী প্রকল্পগুলি আরও বেশি করে বাংলার মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। রাজ্যে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে একাধিক মন্ত্রী জেলবন্দি, দুর্নীতি নিয়ে আরও সরব হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন শাহ। তাঁর বার্তা, পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যম রাজ্যের শাসকদলের দুর্নীতি নিয়ে বেশি সরব নয়, এই কারণে সোশ্যাল মিডিয়াকে আরও বেশি ব্যবহার করতে হবে। আর অবশ্যই বেশি করে প্রচার করতে হবে রাম মন্দির নিয়ে।