রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: রামে আসা ভোট কেন আবার বামে ফিরছে? কতটা ভোটই বা বেড়েছে বামেদের? শুক্রবার রাতে দলীয় বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর (Amit Shah) এই প্রশ্ন শুনে কার্যত অস্বস্তিতে রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতারা। বৈঠক সূত্রে এমনটাই খবর।
একুশের ভোটে বিজেপি প্রধান বিরোধী দল হিসেবে উঠে এলেও তারপর থেকে বাংলায় আন্দোলনের তেজ বাড়িয়েছে বামেরা। কয়েকটি নির্বাচনে দেখা গিয়েছে পদ্মে চলে যাওয়া বামেদের ভোট আবার ফিরছে। বিজেপি (BJP) সেখানে পিছিয়ে যাচ্ছে। এই খবর যে অমিত শাহর কাছেও রয়েছে তা সম্ভবত আঁচ করতে পারেননি বিজেপির বঙ্গ ব্রিগেড।
[আরও পড়ুন: অরুণাচলে চিনা আগ্রাসন নিয়ে কটাক্ষ, রাহুল গান্ধীকে কংগ্রেস থেকে বহিষ্কারের দাবি বিজেপির]
শুক্রবার রাতে মুরলীধর সেন লেনে বিজেপির রাজ্য দপ্তরে আধ ঘন্টার বৈঠকে অমিত শাহ এই প্রশ্ন তুললেন সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) দিলীপ ঘোষ-সহ দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকদের সামনে। পাশাপাশি বামেরা (Left Front) যেখানে বাড়ির উঠোনে, গ্রামের আলপথ বেয়ে জাঠা করছে সেখানে নিচুতলায় পৌঁছতে পারছে না গেরুয়া শিবির। এই সমস্ত তথ্য নিয়েই যে অমিত শাহ বৈঠকে হাজির হয়েছিলেন তা স্পষ্ট হয়েছে এদিন। বঙ্গ নেতাদের শাহর প্রশ্ন, কেন বোঝানো যাচ্ছে না বিজেপিই বিকল্প? শুধু তাই নয়, শাহ এও বলেন, শুধু বিধানসভায় সংখ্যা থাকলেই বিরোধী হওয়া যায় না। রাস্তায় আন্দোলনে বিরোধী হতে হয়। বিজেপির বিক্ষুব্ধ অংশেরও অভিযোগ রয়েছে যে মাঠেঘাটে আন্দোলন ছেড়ে রাজ্য বিজেপি খালি কোর্টে যাচ্ছে।
[আরও পড়ুন: আমেরিকার একাধিক শহরে বিনামূল্যে গণপরিবহণ! ‘খয়রাতি’ নিয়ে বিজেপিকে তোপ কেজরির]
একইসঙ্গে নিচুতলার কর্মীদের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রাখার কথাও এদিন বলেছেন শাহ। মঙ্গলবার সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majimdar) ও শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দিল্লিতে কথা বলবেন অমিত শাহ। মনে করা হচ্ছে, দলের মধ্যে চলা ক্ষোভ-বিক্ষোভ, কোন্দল, সুকান্ত-শুভেন্দুর মধ্যে দুরত্ব তৈরি হওয়া নিয়ে সমস্ত রিপোর্টই শাহর কাছে গিয়েছে। তাই এইসব বিষয়ে দু’জনকেই দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়ে সতর্ক করতে চান অমিত শাহ। এদিকে, শুক্রবার রাতে সুকান্ত-শুভেন্দুর সঙ্গে গাড়িতে যাওয়ার সময় অমিত শাহ সকলকে নিয়ে মিলে চলার নির্দেশ তাঁদের দিয়েছেন বলে খবর। শুভেন্দুকেও তিনি বলেছেন সুকান্ত ও দিলীপের (Dilip Ghosh) সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে চলতে হবে। রাজ্য সভাপতির কথাও শুনতে হবে। সূত্র মারফৎ এই খবর পাওয়া গেলেও সুকান্তর দাবি, এইসব বিষয়ে কোনও কথাই হয়নি।