সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মণিপুরে কার্যত গৃহযুদ্ধ চলছে। সেনা নামিয়েও নিয়ন্ত্রণে আসছে না মেইতেই-কুকি জাতিদাঙ্গা। জম্মু ও কাশ্মীরের মতোই সন্ত্রাস দমন অভিযানে স্থানীয়দের একাংশের বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে জওয়ানদের। সোমবার গোটা পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে রিপোর্ট দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
মণিপুর নিয়ে সদ্য সমাপ্ত সর্বদলীয় বৈঠকের পর গতকাল রবিবার পাহাড়ি রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসেন শাহ। আলোচনায় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ও জনসাধারণের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট পেশ করেন বীরেন। তারপরই নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, ‘মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে মণিপুরের পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত করেছি। তাঁর নজরদারিতে হিংসাত্মক ঘটনায় রাশ টানতে সক্ষম হয়েছে রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার। ১৩ জুনের পর মণিপুরে আরও কোনও মৃত্যু ঘটেনি। মামনীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আশ্বাস দিয়েছেন, মণিপুরকে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরাতে সমস্ত প্রয়াস করবে কেন্দ্রীয় সরকার।’
[আরও পড়ুন: দেশের জন্য প্রাণ দেননি, তাই ব্রাত্য নেহরু, উত্তরপ্রদেশে পড়ানো হবে সাভারকরের জীবনী]
৩ মে থেকেই হিংসার আগুনে জ্বলছে মণিপুর। মেইতেই-কুকি সংঘাতে এখনও পর্ষন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ১০০ জনেরও বেসি মানুষ। সম্প্রতি মণিপুর সরকারের এক রিপোর্ট বলা হয়েছে, রাজ্যে মায়ানমার থেকে অনুপ্রবেশ ঘটছে। প্রায় ২ হাজার অনুপ্রবেশকারী রয়েছে রাজ্যে। এই পরিস্থিতিতে বিরোধীদের টানা আক্রমণের মুখে পড়ে একপ্রকার বাধ্য হয়েই শনিবার সর্বদল বৈঠক ডাকেন অমিত শাহ (Amit Shah)।
এদিকে, মণিপুরের পরিস্থিতি ক্রমেই হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকদের একাংশ। গত শনিবার সকালে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সেনা জওয়ানদের সংঘর্ষ শুরু হয়। আর তারপরই ১২ জন মেইতেই জঙ্গিকে বন্দি করা হয়। কিন্তু জওয়ানদের ঘিরে ফেলেল স্থানীয় মহিলারা। বারবার আবেদন জানানো হতে থাকে বন্দিদের ছেড়ে দেওয়ার জন্য। সাধারণের প্রাণহানির ঝুঁকি থাকায় শেষপর্যন্ত বন্দিদের ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় সেনা। ‘বিদ্রোহী’দের মুক্তি দেওয়ার পর এলাকা ছেড়ে দেয় ভারতীয় সেনা। তবে সেখান থেকে উদ্ধার হওয়া অস্ত্রশস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।