রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: এক ঝাঁক নেতা-নেত্রীর দলবদল হয়েছে। রাজ্যে কেন্দ্রীয় নেতাদের আনাগোনা বেড়েছে। ঘনঘন বৈঠকে নির্বাচনী রণনীতিও নির্ধারিত হচ্ছে। কিন্তু বুথস্তরে সংগঠন না থাকলে এত প্রস্তুতি নিয়েও আসল পরীক্ষায় ডাহা ফেল করতে হবে। এই সারসত্যটা ভালই বোঝেন বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ (Amit Shah) । তাই শনিবার রাতের নিউটাউনের হোটেলের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে নেতা-কর্মীদের হোম টাস্ক বেঁধে দিলেন শাহ।
১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বিজেপির (BJP) রাজ্য নেতাদের হোম টাস্ক দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। যার মধ্যে সবচেয়ে জরুরি বুথস্তরে সংগঠন মজবুত করা। কীভাবে হবে সেই কাজ? ভোটার তালিকা স্ক্রুটিনির কাজে কর্মীদের বাড়ি-বাড়ি যেতে হবে। পাশাপাশি প্রতি বুথে পাঁচটি করে দেওয়াল লিখন করাতে হবে। এককথায়, এবার মাঠে নেমে গা ঘামাতে হবে বিজেপির বুথস্তরের কর্মীদের। যা দেখে কেউ কেউ বলছেন, তৃণমূল স্তরে ঘর গুছিয়ে তৃণমূলকে মাত দিয়ে চাইছেন শাহ। সেদিকে নজর রেখেই রাজ্যে আগামীদিনে শুভেন্দুকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। এমনকী, নির্বাচনী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ দ্বায়িত্বও পেতে পারেন তিনি।
[আরও পড়ুন : ‘মা-মাটি-মানুষের স্লোগান তোলাবাজি-ভাইপোরাজে বদলে গিয়েছে’, মেদিনীপুর থেকে তোপ শাহর]
তৃণমূলস্তরে সংগঠন পোক্ত করার হাতেগরম ফল পেয়েছে বিজেপি। ২০১৪ সালের আগে উত্তরপ্রদেশের মাটি কামড়ে পড়েছিলেন অমিত শাহ। তৃণমূল স্তরে জনসংযোগ ও সংগঠন মজবুত করে বিজেপির শক্তঘাঁটিতে পরিণত করেছেন সেই রাজ্যকে। সেই সংগঠনের উপর ভর করে একের পর এক নির্বাচনী বৈতরণী পার করছে বিজেপি। শাহ এবার সেই চালই বাংলায় চালতে চান বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। সেই নীল নকশা অনুযায়ী রাজ্যের নেতাদের হোমটাস্ক বরাদ্দ হচ্ছে।
তবে রাজ্যের নেতারা, বুথকর্মীরা বেঁধে দেওয়া টাস্ক কতটা করছেন, সেদিকে কড়া নজর থাকছে কেন্দ্রীয় নেতাদেরও। না হলে কি জানুযারিতে ফের তিনদিনের বঙ্গসফরে আসেন অমিত শাহ এবং জেপি নাড্ডা। নিউটাউনের বৈঠকেই শাহ জানিয়েছেন, নতুন বছরে জানুয়ারি মাসে তিনদিন রাজ্যে আসবেন তিনি এবং জে পি নাড্ডা। সবমিলিয়ে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে বাংলার ভোটযুদ্ধ নিয়ে সাজো-সাজো রব।
[আরও পড়ুন : অমিত শাহর সঙ্গে যোগাযোগ ২০১৪ থেকেই! যোগদান মঞ্চে বোমা ফাটালেন শুভেন্দু]
উল্লেখ্য, এদিন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে কৈলাস বিজয়বর্গীয়, দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়, শিবপ্রকাশ,অরবিন্দ মেনন, স্বপন দাসগুপ্তরা যেমন ছিলেন তেমনই ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা মনসুখ মান্ডিয়া, সঞ্জীব বালিয়ান, উত্তর প্রদেশের ডেপুটি মুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য প্রমুখ। ছিলেন পাঁচ রাজ্যের সংগঠন সম্পাদক। ২০১৭ সাল থেকে বাংলার কি পরিস্থিতি ছিল। এখন কি পরিস্থিতি। বৈঠকে তা ব্যাখ্যা করেন অমিত শাহ।