সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মণিপুর ইস্যুতে রাহুলের ছোঁড়া ইটের জবাব পাটকেল দিয়ে দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মেনে নিলেন, মণিপুরে (Manipur) হিংসা ছড়িয়েছে সেটা অস্বীকার করার জায়গা নেই। মেনে নিলেন, মণিপুরে যেটা হচ্ছে সেটা লজ্জাজনক। কিন্তু তারপরই পালটা তোপ দেগে বলে দিলেন, হিংসার ঘটনা যতটা লজ্জাজনক, তার চেয়ে অনেক বেশি লজ্জাজনক হল মণিপুর ইস্যুতে বিরোধীদের রাজনীতি করার চেষ্টা।
এদিন সকালে ভাষণে রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) দাবি করেছিলেন, তিনি মণিপুরে গিয়ে সাধারণ মানুষের মনের কথা শুনেছেন। আর প্রধানমন্ত্রী আজ অবধি মণিপুর যাওয়ার সময় পেলেন না। কংগ্রেস নেতা অভিযোগ করেছিলেন, মণিপুর থেকে হরিয়ানা, সব জায়গায় বিভেদের বীজ পুঁতছেন মোদি (Narendra Modi) নিজেই। জবাব শাহ বললেন, ‘মণিপুরে গিয়ে নাটক করেছেন রাহুল। গত ৩০ বছর দেশ দুর্নীতি আর পরিবারবাদের নাগপাশে বন্ধ ছিল। মোদি সেটা ভেঙে দিয়েছেন। দেশকে ভাল কাজের রাজনীতি শিখিয়েছেন তিনি।”
[আরও পড়ুন: ‘কংগ্রেসের পরিবারতন্ত্রই পওয়ারকে প্রধানমন্ত্রী হতে দেয়নি’, হাত শিবিরকে খোঁচা মোদির]
অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে রাহুলের করা অভিযোগের জবাব দিয়ে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, সরকার যখন উন্নয়নের কাজে মনোনিবেশ করছে, বিরোধীরা তখন স্রেফ রাজনৈতিক উদ্দেশে অনাস্থা প্রস্তাব আনছে। ১৯৯৯ সালে অটলবিহারী বাজপেয়ী সরকার মাত্র ১ ভোটের জন্য অনাস্থা প্রস্তাবে হেরে যায়। কিন্তু তারপরই আবার এনডিএ গঠন করে পূর্ণ সময় সরকার চালিয়েছিলেন বাজপেয়ী। সেই প্রসঙ্গ তুলে এদিন শাহ কটাক্ষ করলেন, এভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশে অনাস্থা এনে আসলে সরকারের উন্নয়ন নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করতে চাইছে বিরোধী শিবির।
[আরও পড়ুন: জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়কে ব্যাপক ধস, ফের দুর্যোগের জেরে বন্ধ অমরনাথ যাত্রা!]
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন,”ওরা তো উত্তর-পূর্ব ভারতে কিছুই করেনি। মোদি জমানায় উত্তর-পূর্ব ভারতে ৬৮ শতাংশ কমেছে হিংসার ঘটনা। স্রেফ ৯ বছরে ৫০ বার উত্তরপূর্ব ভারতে গিয়েছেন মোদি। প্রধানমন্ত্রীই উত্তর-পূর্ব ভারতকে মূল ভুখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করেছেন।” অমিত শাহ (Amit Shah) জানান, মণিপুরের হিংসার এপর্যন্ত ১৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এটা অস্বীকার করার জায়গা নেই। সরকারের লুকনোরও কিছু নেই। এখন হিংসা অনেকটাই কমেছে। মুখ্যমন্ত্রীও কেন্দ্রের সঙ্গে সহযোগিতা করছেন। তাই তাঁকে সরানোর কোনও প্রশ্ন নেই। শাহর দাবি, একেবারে প্রথম দিন থেকে আলোচনায় রাজি সরকার। কিন্তু বিরোধীরাই আলোচনা চায় না।