স্টাফ রিপোর্টার: বাংলায় দলের সাংসদদের এবার সামলাতে হবে অতিরিক্ত দায়িত্ব। নিজের লোকসভা কেন্দ্র ছাড়াও আরও দু’টি কিংবা তিনটি করে লোকসভা কেন্দ্রের দায়িত্ব দেওয়া হল তাঁদের। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহর নির্দেশে এমনই সার্কুলার এসেছে দিল্লি থেকে।
গত লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে ১৮টি আসন পেয়েছে বিজেপি। দুই থেকে একলাফে ১৮। গত ১ অক্টোবর বাংলায় একদিনের ঝটিকা সফরে এসে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেছেন অমিত শাহ। সেখানে শাহ স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন, বাংলায় ক্ষমতায় আসতে চলেছে বিজেপি। সেজন্য দলের কার্যকর্তাদের পরিশ্রম করতে হবে। বিজেপির অনুকূলে হাওয়া বইছে পশ্চিমবঙ্গে। লোকসভা ভোটে সাফল্যের পর বাংলা দখলের ছক কষছে গেরুয়া শিবির। তাই এবার ‘মিশন ২০২১।’
[আরও পড়ুন: রাস্তার পাশে অসুস্থ তরুণী, নজর পড়তেই গাড়ি থামিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করলেন মুখ্যমন্ত্রী]
মুরলীধর সেন লেন সূত্রে খবর, পুজোর পর থেকেই এ রাজ্যে আগামী বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ঘুঁটি সাজাতে শুরু করে দেবে বিজেপি নেতৃত্ব। সামনে থেকে মাঠে-ময়দানে যুদ্ধ করবেন দিলীপ ঘোষ-মুকুল রায়-কৈলাসরা। পর্দার আড়াল থেকে সংগঠনকে বাড়াবেন সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের মতো সংগঠকরা। তারই মধ্যে দলীয় সাংসদদের দায়িত্ব বাড়াল বিজেপি। নিজেদের কেন্দ্র তো সেখানকার সাংসদ দেখবেনই। কিন্তু পাশাপাশি একটি কিংবা দু’টি লোকসভা কেন্দ্রে দলের যে সব আন্দোলন, প্রচার কর্মসূচি হবে তার দায়িত্ব থাকবে সেই সাংসদের উপর।
সাংসদদের দায়িত্ব বাড়ানোর মধ্য দিয়ে মনে করা হচ্ছে, যে লোকসভা কেন্দ্র বিজেপির দখলে নেই সেখানেও জনসংযোগ ও দলের প্রভাব বাড়ানোর কৌশল নিয়েছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। এদিকে, সামনেই ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচন। নভেম্বরেই সেখানে ভোট। প্রতিবেশী রাজ্যের বাংলাভাষাভাষী মানুষের বাস সেখানকার প্রায় ১৫টি বিধানসভা কেন্দ্রে। যেমন, লিট্টি পাড়া, শিকারি পাড়া, জামতাড়া, নালা, দুমকা ইত্যাদি। সেইসব বাংলা ভাষাভাষী এলাকায় ভোটের প্রচারের জন্য বঙ্গ বিজেপির বহু কার্যকর্তারাই যাচ্ছেন। দায়িত্বে রয়েছেন দলের এসসি মোর্চার রাজ্য সভাপতি অরুণ হালদার।
[আরও পড়ুন: ‘বাংলার উৎসবে শামিল হতে এসেছি’, বি জে ব্লকের পুজো উদ্বোধনে বললেন অমিত শাহ]
The post বাংলা দখলের ছক গেরুয়া শিবিরের, সাংসদদের বাড়তি দায়িত্ব অমিত শাহের appeared first on Sangbad Pratidin.