রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: একই মাসে দ্বিতীয়বারের জন্য বাংলায় আসতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। আগামী ৩০ নভেম্বর তাঁর ফের রাজ্যে আসার সম্ভাবনার কথা শোনা যাচ্ছে বিশেষ সূত্রে। মঙ্গলবারই ছয় কেন্দ্রীয় নেতার উপস্থিতিতে বিজেপির (BJP) কার্যালয়ে একুশের লড়াইয়ের দায়িত্ব বণ্টন হয়েছে। ৫ সাংগঠনিক জোনের দায়িত্বে থাকছেন পাঁচজন কেন্দ্রীয় নেতা। তাঁরা দায়িত্বভার নেওয়ার পর নিজের নিজের সাংগঠনিক জোনে দলের পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠাবেন অমিত শাহর কাছে। সেসব পর্যালোচনার পর এ মাসের ৩০ তারিখ তিনি ফের আসতে পারেন। যদিও সময়সূচি এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
একুশের বিধানসভায় বাংলা দখলে মরিয়া বিজেপি। দেশের অন্যতম শক্তিশালী বিরোধী দলের হাতে থাকা রাজ্যের প্রতি তাই একবিন্দু ঢিলেমি দিতে নারাজ কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দল। দুর্গাপুজোর পর ৫ এবং ৬ নভেম্বর, দু’দিন বঙ্গ সফরে এসে রাজ্য বিজেপিকে একুশে লড়াইয়ের স্ট্র্যাটেজি ঠিক করে দিয়েছিলেন অমিত শাহ। তখন তিনি জানিয়েছিলেন, কালীপুজোর পর ফের আসবেন। একুশে বঙ্গ জয়কে পাখির চোখ করে ইতিমধ্যে সংগঠনেও বদল আনা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘তৃণমূলের ক্ষতির জন্য দায়ী টিম পিকে’, এবার বিস্ফোরক হরিহরপাড়ার বিধায়ক]
তবে তারপরও বিধানসভায় নির্বাচনে লড়াইয়ের জন্য স্রেফ বঙ্গ নেতৃত্বের উপরেই ভরসা করছে না বিজেপি। তাই এ রাজ্যের ৫ টি সাংগঠনিক জোনে রাজ্য নেতাদেরও উপরে দায়িত্বভার দেওয়া হয়েছে ৫ কেন্দ্রী নেতাকে। মঙ্গলবার বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য কলকাতায় রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে বৈঠকে সেসব দায়িত্ব বণ্টন করে দিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন বাংলার বধূ, খুশির হাওয়া প্রতিবেশীদের মধ্যে]
আগামী ১৮ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলাগুলির গেরুয়া শিবিরের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসে সেখানে দলের পরিস্থিতি বুঝে, বিবেচনা করে রিপোর্ট পাঠাবেন দিল্লিতে। সূত্রের খবর, অমিত শাহ নিজে সেসব রিপোর্ট দেখবেন খতিয়ে। তারপর ফের নতুন কোনও পরিকল্পনা নিয়ে তিনি ফের রাজ্যে আসতে পারেন ৩০ নভেম্বর।