সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ (The Kashmir Files)। বক্স অফিসে ঝড় তুলেছে পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীর এই ছবি। এর আগে ছবিটি সম্পর্কে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করতে দেখা গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi)। এবার সকলকে ছবিটি দেখবার আরজি জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তাঁর দাবি, কংগ্রেস আমলে কাশ্মীর (Kashmir) উপত্যকায় নৃশংসতা এবং সন্ত্রাস কোন পর্যায়ে পৌঁছেছিল তা বুঝতে হলে ছবিটি দেখা দরকার।
শনিবার আহমেদাবাদ পুরসভার একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অমিত শাহ। সেখানেই তাঁকে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ সম্পর্কে কথা বলতে দেখা যায়। তিনি বলেন, ”যাঁরা এখনও দেখেননি তাঁরা অবশ্যই কংগ্রেস শাসনে কাশ্মীরকে সন্ত্রাস ও নৃশসংতা কতটা গ্রাস করেছিল তা জানতে ছবিটি দেখে আসুন।”
[আরও পড়ুন: আরও ৬ মাস বিনামূল্যে রেশন পাবেন ৮০ কোটি ভারতবাসী! বড় ঘোষণা মোদি সরকারের]
সেই সঙ্গে কাশ্মীর থেকে সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল হওয়ার প্রসঙ্গ তুলে মোদির প্রশংসাতেও পঞ্চমুখ হন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ”আপনারা যখন নরেন্দ্র ভাইকে দ্বিতীয় বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করলেন, তিনি ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট ৩৭০ ধারা বাতিল করলেন। যে মুহূর্তে নরেন্দ্র ভাই এটা করলেন, সারা দেশের মানুষ বুঝতে পারল ওঁর মতো শক্তিশালী মনোবলের কোনও নেতা যখন দেশকে নেতৃত্ব দেন, তখন কোনও কিছুই অসম্ভব নয়।” পাশাপাশি মোদির নেতৃত্বে দেশ কীভাবে রপ্তানিতে শীর্ষস্থানীয় দেশগুলির সঙ্গে এক আসনে নিজেকে বসাতে পেরেছে সেকথাও উল্লেখ করেন অমিত।
উল্লেখ্য, নয়ের দশকের শুরুতে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপরে হওয়া অত্যাচার নিয়ে তৈরি হওয়া ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ ছবির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছিলেন মোদি। দলীয় সাংসদদের মোদি বার্তা দেন ছবিটিকে সমর্থন করার জন্য। সেই সঙ্গে অভিযোগ করেন গবেষণালব্ধ ও সত্যনিষ্ঠ ছবিটির বিরুদ্ধে কেউ কেউ চক্রান্ত করতে শুরু করেছেন। তোপ দেগে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ”বাকস্বাধীনতার ধ্বজাধারী জামাতরা গত পাঁচ-ছয় দিন ধরেই ক্ষোভে ফুঁসছেন। তথ্য ও সত্যের ভিত্তিতে সিনেমাটির বিচার না করে সেটিকে খাটো করে দেখাতে প্রচার চালানো হচ্ছে।”
[আরও পড়ুন: মর্মান্তিক! ই-স্কুটারে চার্জ দিতে গিয়ে ভয়ংকর বিস্ফোরণ, মৃত্যু বাবা ও মেয়ের]
এদিকে এভাবে একটি ছবি নিয়ে মোদি-সহ বিজেপি নেতাদের উচ্ছ্বাস প্রকাশকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিরোধীরা। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরাসরি আক্রমণ করেছেন গেরুয়া শিবিরকে। তাঁর খোঁচা, ”কাশ্মীরি পণ্ডিতদের নাম করে কোটি কোটি টাকা রোজগার করছেন অনেকে। আর আপনাদের দেওয়া হয়েছে কেবল পোস্টার লাগানোর কাজ! তাও একটি ‘মিথ্যে’ ছবির!” সব মিলিয়ে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’কে ঘিরে চর্চা ও বিতর্ক অব্যাহত। ইতিমধ্যেই প্রায় ২২০ কোটি টাকা রোজগার করে ফেলেছে ছবিটি।