সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গোয়ায় নির্বাচন ১৪ ফেব্রুয়ারি। ফল ঘোষণা হবে ১০ মার্চ। ভোটমুখী সৈকত রাজ্যে বর্তমানে রাজনৈতিক উত্তেজনা তুঙ্গে। এই অবস্থায় গোয়ায় (Goa) দলের একগুচ্ছ কর্মসূচিতে গিয়ে কংগ্রেস (Congress) নেতা রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandi) তীব্র কটাক্ষ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। বললেন, ‘মোদি ফোবিয়া’য় ভুগছেন রাহুল গান্ধী। এদিন শাহ দাবি করলেন, গোয়ায় সরকার গড়বে বিজেপিই (BJP)।
রবিবার গোয়ায় বিজেপির ভোটপ্রচারে অমিত শাহর সঙ্গে ছিলেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত (Pramod Sawant)। উত্তরপ্রদেশের মথুরার মতোই এদিন বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিজেপি সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে দলের প্রচারপত্র বিলি করেন শাহ। এছাড়াও বোরিমের সাই বাবা মন্দিরে পুজো দেন শাহ ও সাওয়ান্ত।
[আরও পড়ুন: গোয়ার নির্বাচনী লড়াই থেকে সরলেন লুইজিনহো, তৃণমূলের হয়ে লড়বেন আত্মীয়া]
প্রেক্ষাগৃহে অনুষ্ঠিত একটি প্রচার সভায় বলেন, “কংগ্রেসের গান্ধী পরিবার গোয়াকে ঘুরতে আসার জায়গা মনে করত। আমরা মনোহর পারিকরের ‘সোনার স্বপ্ন’কে বাস্তবায়িত করেছি।” শাহ আরও বলেন, “বিজেপির গোল্ডেন গোয়া ও কংগ্রেসের ‘গান্ধী পরিবারের গোয়া’র মধ্যে থেকে নির্বাচন করতে হবে গোয়ার মানুষকে।” এরপরেই সমুদ্র-রাজ্যের প্রচারে রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ করেন গেরুয়া শিবিরারের হাই প্রোফাইল নেতা। শাহ বলেন, “রাহুল গান্ধী এখন মোদি ফোবিয়ায় ভুগছেন।”
এদিন অমিত শাহ আরও বলেন, “গোয়ায় মোদি সরকারের একটাই এজেন্ডা, আর তা হল উন্নয়ন।” এই সূত্রে দেশের সবচেয়ে ছোট রাজ্যের বিগত কংগ্রেস সরকার ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগম্বর কামাতের উদ্দেশে তোপ দাগেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী। বলেন, “কংগ্রেস আমলে গোয়া ছিল দুর্নীতির আখড়া, বিশৃঙ্খলায় ভরা একটি রাজ্য।”
[আরও পড়ুন: শুরু আসন পুনর্বিন্যাসের কাজ, পরিস্থিতি ‘স্বাভাবিক’ হলেই কাশ্মীরে ভোটের আশ্বাস অমিত শাহর]
প্রসঙ্গত, নতুন সংগঠন তৈরির পর আসন্ন গোয়া বিধানসভা ভোটের (Goa Election 2021) প্রস্তুতি যখন তুঙ্গে, তখনই খানিকটা ছন্দপতন হয়েছে তৃণমূলে। ভোটে না লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলের সহ-সভাপতি লুইজিনহো ফ্যালেইরো (Luizinho Faleiro)। শুক্রবার সকালে পানাজিতে সাংবাদিক বৈঠক করেন গোয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল নেত্রী তথা সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তাঁর পাশে বসেই লুইজিনহো নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানান। এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে সঙ্গে ছিলেন নতুন প্রার্থী সিওলা ভাস। লুইজিনহোর এই সিদ্ধান্তে নিঃসন্দেহে তৃণমূলের কাছে ধাক্কা। তবে তা দ্রুত সামলে উঠেই সৈকতরাজ্যে সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপাতে প্রস্তুত বাংলার শাসকদল।