সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে ৩৫ আসনে জেতার টার্গেট দিয়ে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। গত শুক্রবার সিউড়ির জনসভা থেকে এ নিয়ে দলকে চাঙ্গা করতে গিয়ে তিনি বলেছেন, ”চব্বিশে বাংলা থেকে ৩৫ আসন বিজেপিকে দিন, ২০২৫-এই তৃণমূল সরকারের পতন হবে।” কীভাবে তিনি নির্বাচিত সরকারকে এই উপায় উৎখাতের কথা বলেন, তা নিয়ে সেদিনই নিন্দায় মুখর হয়ে উঠেছিল শাসকদল। নেতা, মন্ত্রীরা আলাদা আলাদাভাবে এ নিয়ে নিজেদের বক্তব্য পেশ করেছিলেন। তিনদিন পর, সোমবার অমিত শাহর সেই মন্তব্যের জবাবে তাঁর পদত্যাগ চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)।
সোমবার নবান্নে (Nabanna) সাংবাদিক সম্মেলন থেকে এনিয়ে কার্যত গর্জে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ”উৎসবের আমেজ ছিল, তাই কোনও রাজনীতির কথা বলিনি। কিন্তু আজ উত্তরটা দিতেই হচ্ছে। ১৪ এপ্রিল সিউড়িতে জনসভা করতে গিয়েছিলেন অমিত শাহ। তিনি তাঁর দলের হয়ে প্রচার করতেই পারেন, ভাষণ দিতেই পারেন। কিন্তু একথা তিনি কোন আইন মেনে বললেন যে বাংলা থেকে বিজেপি ৩৫ আসনে জিতলে আর অপেক্ষা করতে হবে না, তারপরই তৃণমূল সরকারের পতন ঘটবে? দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে শপথ করে তিনি একথা বলতে পারেন না। দেশরক্ষার বদলে একটা নির্বাচিত সরকার ফেলে দেওয়ার চক্রান্ত করছেন! এত ঔদ্ধত্য! আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ চাইছি।”
[আরও পড়ুন: ৬৬ ঘণ্টা পর উদ্ধার জীবনকৃষ্ণর দ্বিতীয় মোবাইল, পুকুরে এখনও জারি তল্লাশি]
এ প্রসঙ্গে তিনি সংবিধানের কথাও উল্লেখ করেন। নির্বাচিত সরকার পতন নিয়ে যে বার্তা অমিত শাহ দিয়েছেন দলীয় কর্মীদের, তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, কোন আইনে এই কথা বলতে পারেন? তাহলে কি সংবিধান তাঁরা বদলে দিচ্ছেন? সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক পদ্ধতি মেনে অমিত শাহর পদত্যাগ চাইছি।” অমিত শাহর টার্গেটকে কটাক্ষ করে মুখ্যমন্ত্রীর পালটা দাবি, ”আগে ৫ আসন পেয়ে দেখান, তারপর ৩৫-এর কথা বলবেন।” এর আগে অমিত শাহর এই মন্তব্যকে চ্যালেঞ্জ করে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, ”একটা আসন পেতেও কালঘাম ছুটবে।” আজ মুখ্যমন্ত্রীর কথাতেও সেই একই সুর।