অভিরূপ দাস: এই মন্দিরের ঈশ্বরের উচ্চতা ছ’ফুট দু ইঞ্চি। কাঁচা পাকা চুলে মাঝখানে সিঁথি। রয়্যাল ব্লু কোটে হাত ছড়িয়ে যিনি বসে আছেন, আপাতত তিনি মুম্বইয়ে নানাবতী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অমিতাভ বচ্চন (Amitabh Bachchan)। যিনি নিজেই শনিবার জানিয়েছেন, ‘‘আমার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। হাসপাতালে ভরতি রয়েছি।” ফেলে দেওয়া পয়সা যিনি কখনও কুড়োননি অদৃশ্য ভাইরাসের ছোবল পড়েছে তাঁর ফুসফুসে। অগণিত ভক্তরা কী করে চুপ করে থাকে?
“ওঁ শ্রী মধুসূদনায় নমঃ।” রবিবার শহরের একমাত্র “অমিতাভ বচ্চন মন্দির” গমগম করল মন্ত্রোচ্চারণে এবং যজ্ঞে। রবিবার সকাল থেকেই দক্ষিণ কলকাতার বন্ডেল গেটে চূড়ান্ত ব্যস্ততা। শাহেনশাহর আরোগ্য কামনায় গাওয়া ঘি থেকে পাঁচ রকমের ফল সবই মজুত। এই মন্দিরের প্রধান কর্তা সঞ্জয় পাতোদিয়া জানিয়েছেন, “উনি আমাদের গুরুদেব। ভারতীয় সিনেমায় তাঁর যা অবদান আগামী একশো বছরেও তা ভোলার নয়। তাঁর জন্মদিন আমরা ধুমধাম করে পালন করি। আজ যখন তিনি অসুস্থ আমরা গুরুদেবের উদ্দেশে বলেছি, “অখণ্ড মণ্ডলা কারং ব্যাপ্তং যেন চরাচরম। তদপদং দর্শিতং যেন তস্মৈ শ্রী গুরুবে নমঃ।”
[আরও পড়ুন: পাকিস্তানকে অমিতাভ বচ্চনের জন্য প্রার্থনা করতে হবে না, শোয়েবের টুইটে কটাক্ষ নেটিজেনের]
২০০১ সালে তৈরি হয় এই মন্দিরটি। পূর্ব ভারতের একমাত্র মন্দির যেখানে বিগ্রহ হিসাবে পূজিত হন অমিতাভ বচ্চন। সকাল সন্ধে তাঁর আরতি হয়। ভোগ দেওয়া হয়। যেমনটা হয় অন্যান্য ঠাকুরের মন্দিরে। শুধু নিত্য পুজোই নয়, সারা বছর ধরেই সামাজিক কাজকর্মে যুক্ত থাকেন অমিতাভ বচ্চন মন্দিরের সঙ্গে যুক্ত তাঁর ভক্তরা। কেক পছন্দ করেন না শাহেনশাহ। তাই এই মন্দিরে কেক নিয়ে আসা বারণ। অমিতাভের প্রিয় ফল আর মেওয়া দিয়ে এদিনও যজ্ঞ করা হয়। দুপুর ১টা নাগাদ শুরু হয় যজ্ঞ। চলে বিকেল ৩টে পর্যন্ত। একই সঙ্গে অমিতাভ বচ্চনের দীর্ঘায়ু এবং সুস্থ জীবন কামনা করেছেন ভক্তরা।
[আরও পড়ুন: আরও সংকটে বচ্চন পরিবার, এবার করোনা আক্রান্ত ঐশ্বর্য এবং মেয়ে আরাধ্যাও]
The post দ্রুত সুস্থ হোন অমিতাভ, বিগ বি’র আরোগ্য কামনায় মহাযজ্ঞ কলকাতার ‘বচ্চন মন্দিরে’ appeared first on Sangbad Pratidin.