সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভেগান মিল্ক ইস্যুতে তুঙ্গে আমূল বনাম পেটা (PETA) তরজা। ‘পিপল ফর দ্য এথিক্যাল ট্রিটমেন্ট অফ অ্যানিম্যালস’-কে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ হলেন আমুলের ভাইস চেয়ারম্যান ভালমজি হামবল।
[আরও পড়ুন: মুখ্যসচিব মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত স্টাফ হতে পারেন না! আলাপন ইস্যুতে আরও কড়া কেন্দ্র]
তিন দিন আগে পেটা-র তরফে আমুল-কে বলা হয়েছিল, ‘ভেগান’ দুধ এবং খাদ্যদ্রব্যকে প্রচারের আলোয় তুলে আনতে, এদেরই গুরুত্ব দিতে। আরও স্পষ্ট করে বললে, ‘প্ল্যান্ট-বেসড’ তথা উদ্ভিদ-ভিত্তিক দুধ এবং খাদ্যদ্রব্য বাজারে আনতে, তার প্রচার চালাতে। তারই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার আমুল সংস্থার ভাইস চেয়ারম্যান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) কাছে পেটা-কে নিষিদ্ধ করার আবেদন করেছেন। তাঁর দাবি, এই এনজিও সংস্থা দেশের দুগ্ধক্ষেত্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করে, অন্তত ১০ কোটি মানুষের জীবনযাত্রা বিপন্ন করার চেষ্টা করছে। এর নেপথ্যে বিদেশি ষড়যন্ত্র রয়েছে। একটি বিবৃতিতে ভালমজি হামবল জানিয়েছেন, “দেশের জিডিপি-তে দুগ্ধক্ষেত্রের অন্যতম অবদান রয়েছে। কিন্তু পেটার মতো কয়েকটি এনজিও, বিভ্রান্তিকর তথ্য তুলে ধরে জিডিপি-কে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে। এই ধরনের এনজিও সংস্থা, এক ধরনের চক্রান্তে শামিল রয়েছে। আর সেই চক্রান্ত হল ভারতের দুগ্ধ উৎপাদকদের কাছ থেকে কাজ ছিনিয়ে নেওয়া, তাদের পথে বসানো। এককথায় বেকার করে দেওয়া।”
উল্লেখ্য, আমূল এর ডিরেক্টর আর.এস.সোধিকে একটি চিঠি পাঠায় পেটা। সেখানে ভেষজ উপায়ে দুগ্ধজাত দ্রব্য উৎপাদনের আরজি জানায় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটি। বাজারে ভেষজ পণ্যের চাহিদা ও উঠতি জনপ্রিয়তার কথা মাথায় রেখে, PETA আমূলকে ওই আরজি জানিয়েছিল। প্রসঙ্গত, বর্তমানে বাজারে প্রাণীজ দ্রব্যের পরিবর্তে ভেষজ পদার্থের জনপ্রিয়তা যে দিনদিন বেড়ে চলেছে, চিঠিতে সে কথাও উল্লেখ করতে ভোলেনি তারা। তবে পালটা চিঠি নয়, PETA-র আর্জির উত্তরে টুইটার (Twitter) হ্যান্ডেল সোধি লেখেন ‘দুগ্ধজাত দ্রব্যাদি তৈরির সঙ্গে যুক্ত ১০ কোটি গোপালক ও ব্যবসায়ীর দায়িত্ব আপনারা নেবেন? তাঁদের সংসার কীভাবে চলবে? তাঁদের সন্তানদের স্কুলে যাওয়ার খরচ কে জোগাবে? কতজনের সামর্থ্য আছে শহরের দামি গবেষণাগারে তৈরি হওয়া দ্রব্যাদি কিনে খাবার?’ সব মিলিয়ে দুই সংস্থার মধ্যে সংঘাত তুঙ্গে পৌঁছেছে।