দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: করোনা কালেও প্রবল ভিড় লোকাল ট্রেনে। চাপ সামলাতে না পেড়ে ট্রেন থেকে পড়ে জখম হলেন এক বৃদ্ধ। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে বারুইপুর স্টেশনে। এই ঘটনাই প্রমাণ যে, দূরত্ব বিধি পালন করছেন না কেউই!
জানা গিয়েছে, এদিন সকালে আপ লক্ষ্মীকান্তপুর লোকালে উঠেছিলেন নিশিকান্ত নস্কর নামে অবসরপ্রাপ্ত ওই শিক্ষক। গন্তব্য ছিল বারুইপুর (Baruipur)। ভেবেছিলেন করোনা কালে ট্রেন সফরে খুব একটা ঝক্কি পোহাতে হবে না। কিন্তু অভিজ্ঞতা হল সম্পূর্ণ উলটো। ট্রেন বারুইপুর স্টেশনে দাঁড়াতেই নামার চেষ্টা করেন তিনি। তখনই ভিড়ের চাপে পড়ে যান স্টেশনে। জখম হন। বারুইপুর জিআরপি তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় হাসপাতালে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। আর এই ঘটনার পর একটাই প্রশ্ন, যদি পরিস্থিতি জানার পরও এভাবে বাদুড়ঝোলা হয়ে ট্রেন সফর চলতে থাকে, তবে কী হবে আগামীতে?
[আরও পড়ুন: দিলীপ ঘোষের কনভয়ে হামলা, কালো পতাকা ও গো ব্যাক স্লোগানে রণক্ষেত্র আলিপুরদুয়ার]
প্রায় সাড়ে ৭ মাস পর বুধবার থেকে বঙ্গে শুরু হয়েছে রেল পরিষেবা। সিদ্ধান্ত হয়েছিল, কোভিড বিধি মেনে চালানো হবে ট্রেন। সেই মতো রেল-রাজ্যের তরফে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছিল। যাতে দূরত্ববিধি পালন করা সম্ভব হয় তাই মেট্রোর মতো করেই দাগ দিয়ে দেওয়া হয়েছিল লোকাল ট্রেনের সিটে। কিন্তু লাভের লাভ কিছুই হল না। নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আগের মতোই উপচে পড়া ভিড় ট্রেনে শিয়ালদহ শাখার ট্রেনে। দক্ষিণের ক্যানিং, সোনারপুর, বারুইপুর, নামখানা, কাকদ্বীপ কিংবা ডায়মন্ড হারবার প্রায় সব স্টেশনেই টিকিট কাউন্টারে লম্বা লাইন। একটি করে আসনে যাত্রীদের না বসার অনুরোধ করে রেলের তরফে যে স্টিকার দেওয়া হয়েছিল, একদিনেই তার অধিকাংশ উধাও। সহযাত্রীকে সচেতন করতে গিয়ে হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে অনেককেই। আর এই দৃশ্যই উদ্বেগ বাড়চ্ছে ডাক্তার ও বিশেষজ্ঞদের।