সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সল্টলেকে জিসি ব্লকে হাড়হিম কাণ্ড। শৌচাগার থেকে উদ্ধার বৃদ্ধার রক্তাক্ত দেহ। অচৈতন্য অবস্থায় লিভিংরুমে পড়েছিলেন বৃদ্ধ চিকিৎসক। ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবেই ব্যাপক চা়ঞ্চল্য এলাকায়। খবর পেয়েই দেহ উদ্ধারে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী। ঘটনার নেপথ্যে কে? কারণই বা কী? স্ত্রীকে খুনের পর আত্মহত্যার চেষ্টা নয়তো স্বামীর? জানতে তদন্তে পুলিশ। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যান সুজিত বসু।
জানা গিয়েছে, সল্টলেকের জিসি ব্লকের বাসিন্দা যদুনাথ মিত্র ও মন্দিরা মিত্র। যদুনাথবাবু পেশায় চিকিৎসক। বয়স প্রায় ৭৮ বছর। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই বৃদ্ধ দম্পতি বাড়িতে একাই থাকতেন। বুধবার সকালে হাড়হিম করা দৃশ্য। দেখা যায়, লিভিং রুমে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে ছিলেন যদুনাথবাবু। এদিকে বাথরুমে মেলে মন্দিরাদেবী রক্তাক্ত দেহ। দেহের পাশে মেলে রক্তমাখা ছুরি। স্বাভাবিকভাবেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। খবর দেওয়া হয় থানায়। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। মহিলার দেহ উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে। হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বৃদ্ধকে। ঘটনার নেপথ্যে কে বা কারা তা জানার চেষ্টা চলছে।
[আরও পড়ুন: আত্মপ্রচারেই ব্যস্ত নেতারা! ভোটের বাজারেও ধুঁকছে পুরুলিয়ায় তৃণমূলের সোশ্যাল সাইট]
কিন্তু ঠিক কী ঘটেছিল? তা নিয়ে সন্দিহান পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, স্ত্রী মন্দিরাকে নিজেই খুন করেন বৃদ্ধ। তার পর আত্মহত্যার জন্য অ্যাসিড খেয়ে নেন বৃদ্ধ। কিন্তু ঘটনাচক্রে প্রাণে বেঁচে যান তিনি। এদিন পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় হাসপাতালে। শুরু হয়েছে চিকিৎসা। তাঁকে জেরা করলে একাধিক তথ্য পাওয়া যাবে বলে মনে করেছেন তদন্তকারীরা। তবে এর নেপথ্যে অন্য কোনও রহস্য আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এদিন সুজিত বসু জানান, ঘরের ভিতর থেকে বেশ কয়েকটি ছুরি ও একটি চিঠি উদ্ধার হয়েছে। তবে মৃত্যুর কারণ এখনও স্পষ্ট নয়।