সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাধুর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনলেন এক নাবালিকা। জানা গিয়েছে, নিজের আশ্রমেই ওই নাবালিকাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন ওই ধর্মগুরু। আশ্রম থেকে পালিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করে ওই নাবালিকা। স্বামী পূর্ণানন্দ নামে ওই ধর্মগুরুর আশ্রমেই বেশ কয়েকবছর থাকত অভিযোগকারিণী। প্রসঙ্গত, এই স্বামী পূর্ণানন্দের বিরুদ্ধে ১১ বছর আগেও একই অভিযোগ উঠেছিল। এখনও সেই অভিযোগের তদন্ত চলছে।
অন্ধ্রপ্রদেশ (Andhra Pradesh) পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, গত ১৩ জুন থেকে ওই নাবালিকা নিখোঁজ ছিল। অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরে তাকে খুঁজে বের করে মহিলা পুলিশের বিশেষ বাহিনী। তারপরেই ধর্ষণের অভিযোগ আনে নাবালিকা। আশ্রমে থাকাকালীন একাধিকবার যৌন হেনস্তা ও ধর্ষণ করেছেন ধর্মগুরু, এই ভিত্তিতেই অভিযোগ দায়ের হয়।
[আরও পড়ুন: লাইসেন্স ছাড়াই অস্ত্রোপচার! রোগীর পা বাদ যাওয়ায় কাঠগড়ায় খাস কলকাতার ক্লিনিক]
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, স্বামী পূর্ণানন্দের আশ্রমে মোট ১২ নাবালক থাকে। তার মধ্যে ৪ জন নাবালিকা। ২০১৬ সাল থেকে নাবালিকা অভিযোগকারিণী ওই আশ্রমের বাসিন্দা। সেই সময় থেকেই লাগাতার নির্যাতন চালানো হয়েছে নাবালিকার উপর, এমনটাই জানা গিয়েছে। তবে এখনও অভিযুক্তকে আটক করা যায়নি বলেই পুলিশ সূত্রের খবর। অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশে আরও জানিয়েছে, ২০১২ সালেও এই ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। এখনও তার তদন্ত চলছে।
প্রশ্ন উঠছে, অভিযুক্ত স্বামী পূর্ণানন্দের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তাঁকে আশ্রম চালানোর অনুমতি দেওয়া হল কেন? শুধু ধর্ষণ নয়, জমি কেলেঙ্কারির অভিযোগও রয়েছে ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে। তাঁর আশ্রমের জমিও বেআইনিভাবে অধিগ্রহণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। প্রসঙ্গত, একাধিক ডিগ্রি রয়েছে ধর্ষণে অভিযুক্ত ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে।