সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পশু অবলা বলেই তাদের প্রতি বেশি করে সংবেদনশীল হতে হবে। মনে রাখতে হবে, গরু-মহিষ-সহ সমস্ত পশুর মানুষের মতোই আবেগ এবং অনুভূতি রয়েছে। পশুকল্যাণে ভারতীয় সংবিধানে রয়েছে একাধিক আইনও। পার্থক্য হল পশুরা নিজেদের দাবি জানাতে পারে না। একটি মামলার এমনই মন্তব্য করল বম্বে হাই কোর্ট (Bombay High Court)।
সম্প্রতি মহারাষ্ট্র (Maharashtra) পুলিশ ৩৯টি গবাদি পশুকে হেফাজতে নেয়। অভিযোগ, গবাদি ব্যাপারীরা ওই পশুগুলিকে নিষ্ঠুর ভাবে গাড়িতে নিয়ে যাচ্ছিল। প্রাণীগুলির জন্য খাবার বা জলের ব্যবস্থা ছিল না। এরপরেই গাড়ি আটকে পশুদের প্রতি নিষ্ঠুরতা প্রতিরোধ আইনে প্রশাসন আটক করে পশুগুলিকে। যদিও তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ব্যাপারীরা। এ নিয়ে মামলা চলছে নিম্ন আদালতে। এরই মধ্যে পশুগুলিকে ফিরে পেতে বম্বে হাই কোর্টে আলাদা মামলা করেন ব্যপারীরা। তাঁদের দাবি, মামলা চলুক কিন্তু পশুগুলিকে তাদের কাছে ফেরানো হোক। সেক্ষেত্রে তাঁরা দুধ বিক্রি করে উপার্জন করতে পারবেন।
[আরও পড়ুন: বেঁধে দেওয়া হল ২৩টি নিত্যপ্রয়োজনীয় ওষুধের দাম, কবে থেকে স্বস্তি পাবেন গ্রাহকরা]
সেই মামলার শুনানিতেই পশুদের প্রতি সংবেদনশীলতার পাঠ পড়াল আদালত। পাশাপাশি গবাদি পশুর ব্যাপারীদের আবেদন খারিজ করে বম্বে হাই কোর্ট। এইসঙ্গে আদালত নির্দেশ দিয়েছে, নিম্ন আদালতের রায় পর্যন্ত একটি গোশালায় রাখতে হবে পশুগুলিকে। মানবিকতার সঙ্গে তাদের দেখভাল করতে হবে। পর্যাপ্ত খাদ্য দেওয়া হচ্ছে কিনা, প্রয়োজনে চিকিৎসার বন্দোবস্ত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে পুলিশকে। এমনকী এই বিষয়ে রিপোর্ট দিতে নিম্ন আদালতে।
[আরও পড়ুন: জঙ্গলের ভিতর ছাগলকে ‘ধর্ষণ’, ২ যুবকের বিরুদ্ধে থানায় পোষ্যের মালিক]
আদালতের পর্যবেক্ষণ, “পশুদেরও মানুষের মতো আবেগ, অনুভূতি এবং ইন্দ্রিয় রয়েছে। তাদের জন্য আইনও আছে। পার্থক্য একটাই যে, নিজেদের অধিকারের কথা বলতে পারে না, যদিও তাদের কল্যাণে জন্য আইন রয়েছে। ফলে পশুর অধিকার, পশুকল্যাণ এবং তাদের সুরক্ষার বিষয়টি অত্যন্ত সংবেদনশীলতার সঙ্গে দেখতে হবে।”