সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বইমেলায় প্রকাশিত হবে ‘একেনবাবু’র ষষ্ঠ খণ্ড। তার জন্য সুদূর নিউ জার্সি থেকে কলকাতায় এসেছিলেন। ফিরে যাওয়া হল না। বুধবার সকালে কলকাতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হল ‘একেনবাবু’র স্রষ্টা সুজন দাশগুপ্তর (Sujan Dasgupta) নিথর দেহ। আচমকা লেখকের মৃত্যুর খবর পেয়ে দিশেহারা অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য, সুহত্র মুখোপাধ্যায়। শোকাতুর ‘একেনবাবু’র প্রকাশক অভিষেক আইচ।
বুধবার সকালেই সুজন দাশগুপ্তর অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর পান অনির্বাণ। অভিনেতার কথায়, “আমি সত্যিই জানি না কী বলব, ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। সুজন দাশগুপ্তর কাছে আমি ঋণী। কারণ অনেকের কাছেই আমি আগে একেনবাবু, পরে অভিনেতা অনির্বাণ চক্রবর্তী। এই চরিত্রের স্রষ্টা আর নেই এটা ভাবলেই মন ভেঙে চুরমার হয়ে যাচ্ছে। সুজনদা অনন্য প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। সবসময় বলতেন, একেনবাবুকে অন্যভাবে কল্পনা করেছিলেন, কিন্তু আমাকে একেনবাবু হিসেবে দেখার পর সেভাবেই একেনবাবুকে ভাবতে শুরু করেছেন। এই কথাটাই আমার মনে রয়ে যাবে আজীবন। ওনাকে মিস করব।”
[আরও পড়ুন: একবছরে দ্বিতীয়বার! বিতর্কের মাঝেই ফের সিনেমা হলে মুক্তি পাচ্ছে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’]
‘একেনবাবু’ সিরিজের ষষ্ঠ মরশুমে তাঁর সঙ্গী বাপির ভূমিকায় অভিনয় করছেন সুহত্র মুখোপাধ্যায়। সুজন দাশগুপ্তর মৃত্যুর খবরে দুঃখপ্রকাশ করে তিনি জানান, লেখক খুবই মজার মানুষ ছিলেন। এ মাসেই সুহত্রর সঙ্গে ‘একেনবাবু’র স্রষ্টার দেখা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা আর হল না। প্রথমবার একেনবাবু প্রকাশিত হয়েছিল অভিষেক আইচের ‘দ্য কাফে টেবিল’ প্রকাশনা সংস্থার হাত ধরে। লেখকের মৃত্যুর খবর শুনেই তাঁর পরিবারের পাশে গিয়ে দাঁড়ান অভিষেকবাবু। ফোনে সংবাদ প্রতিদিনের প্রতিনিধির সঙ্গে বেশি কথা না বলতে পারলেও জানান, নিজের নতুন বই হাতে নিয়ে দেখেছিলেন সুজন দাশগুপ্ত। কিন্তু বইমেলায় তার প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারলেন না। কিন্তু তাঁর স্মৃতিকে সম্পদ করেই এবারের বইমেলায় প্রকাশিত হবে ‘একেনবাবু সমগ্র খণ্ড : ৬’।
২০২২ সালের ২৩ ডিসেম্বর থেকে হইচই (Hoichoi) ওয়েব প্ল্যাটফর্মে দেখা যাচ্ছে ‘একেনবাবু সিজন ৬’। সংস্থার পক্ষ থেকে লেখকের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেন সিইও সৌম্য মুখোপাধ্যায়। এ যেন পরিবারের সদস্যকে হারানোর মতো, জানান তিনি। একেনবাবুর মাধ্যমেই সুজন দাশগুপ্ত হইচই পরিবারের মধ্যে থেকে যাবেন, বক্তব্য সৌম্য মুখোপাধ্যায়ের।