মণিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: ছাত্রনেতা আনিস খান (Anis Khan) হত্যাকাণ্ডে প্রকৃত দোষীদের শাস্তি চেয়ে এবার পথে নামলেন সাধারণ গ্রামবাসীরা। বৃহস্পতিবার মিছিল করে আমতা থানা ঘেরাও করেন তাঁরা। এই মিছিলে শামিল হন আনিসের বাবা সালাম খানও। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে মিছিলকারীরা থানার ভিতরে ঢুকতে চাইলে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন গ্রামবাসীরা। বাধে খণ্ডযুদ্ধ। মিছিল থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টির অভিযোগ ওঠে। মিছিলে হেঁটেও ইট ছোড়ার তীব্র নিন্দা করেন সালাম খান। তাঁর পালটা দাবি, তৃণমূলের লোকজনই মিছিলে ঢুকে অশান্তি তৈরি করছে। আমতা থানার সামনে এ নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হয়।
ঘটনার প্রায় চারদিন পর আনিস হত্যাকাণ্ডে দুই পুলিশ কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বৃহস্পতিবার উলুবেড়িয়া মহকুমা আদালতে তোলা হলে, ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। তবে এই পদক্ষেপই যথেষ্ট নয়, প্রকৃত দোষীদের গ্রেপ্তার ও কঠোর শাস্তির দাবিতে সুর চড়াচ্ছেন গ্রামবাসীরা। এদিন সেই দাবিতেই কুশবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা আমতা থানা অভিযানে নামেন। তার আগে এদিন আনিসের আত্মার শান্তিতে এক প্রার্থনাসভার আয়োজন করা হয়। দিনের শুরুতে DYFI আমতা থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করে।
[আরও পড়ুন: ‘মোদিই পারেন যুদ্ধ থামাতে’, রাশিয়ার হামলা রুখতে ভারতের সাহায্য চাইল ইউক্রেন]
তাতে যোগ দেন আনিসের বাবা সালাম খানও। এরপর তাঁরা আমতা থানার দিকে এগিয়ে যান। মিছিলে শামিল হন আমতার প্রাক্তন অসিত মিত্র, ফুরফুরা শরিফের প্রতিনিধি কাশেম সিদ্দিকী। বৃহস্পতিবার আমতা থানার উদ্দেশে এগোয় মিছিল। আমতা থানায় তাঁরা ঢোকার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। পুলিশের অভিযোগ, বাধা দিলে মিছিল থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়া হয়। এর চূড়ান্ত নিন্দা করেন আনিসের বাবা সালাম খান এবং কাসেম সিদ্দিকী। মিছিলকারীদের সতর্ক করে কাশেম বলেন, ”আপনার লক্ষ্য রাখুন, কারা ইট ছুঁড়েছে। যারা ইট ছুঁড়ছে, তারা এসেছে মিছিলকে ভণ্ডুল করে দিতে। তাঁরা তৃণমূলের লোক।”
[আরও পড়ুন: নতুন রেকে সমস্যা, ক্ষয় চাকায়, আচমকা মেট্রোর গতি কমায় দুর্ভোগ যাত্রীদের]
এদিকে, আনিস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে নেমেছে সিপিএম (CPM)। সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য, ”আনিস কাণ্ডে সরকার বে আব্রু হয়ে পড়ছে। কার নির্দেশে পুলিশ গেল? চুনোপুঁটিদের ঘাড়ে ফেলে পুলিশ সুপার বাঁচার চেষ্টা করছে? পুলিশ সুপারকে কে নির্দেশ দিয়েছিল? তৃণমূলের নেতা এসপি ও ওসিকে নির্দেশ দিয়েছে। পুলিশ মন্ত্রী নিজের দায় এড়াতে পারেন না। এসপি ও ওসিকে বরখাস্ত করতে হবে। পুলিশ মন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে।”