সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রেমের টানে স্বামী, সন্তান ছেড়ে পাকিস্তানে পাড়ি দেন। ধর্ম বদলে পাক (Pakistan) যুবক নাসরুল্লাকে বিয়েও করে ফেলেছেন ভারতীয় বধূ অঞ্জু। সেখানে তাঁর নতুন নাম হয়েছে ফতিমা। বাড়ির মেয়ের এহেন কাণ্ডের জন্য চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার তাঁর ভারতে থাকা পরিবারের। কাজ হারিয়েছেন অঞ্জুর ভাই ও স্বামী। কার্যত ‘একঘরে’ হয়ে গিয়েছেন বাবা।
অঞ্জুর বাবা গয়া প্রসাদ থমাস গোয়ালিয়রের বউনা গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় দর্জি। সেখানেই তাঁর নিজের দোকান রয়েছে। আয় মন্দ হত না। কিন্তু অঞ্জু নিজের সংসার ছেড়ে পাকিস্তানে পালিয়ে বিয়ে করার পরই সবটা বদলে যায়। প্রথমে পাড়া-প্রতিবেশীরা গয়া প্রসাদের প্রতি সহানুভূতি দেখালেও হঠাৎই সকলে মুখ ফিরিয়ে নেয় তাঁর দিক থেকে. এমনকী তাঁর দোকানেও আর কেউ আসে না। তাঁর জামাকাপড় তৈরির দোকান একপ্রকার বন্ধ হওয়ার মুখে। আর বারবার সংবাদমাধ্যমের কাছে মেয়েকে নিয়ে জবাবদিহি দিতে হচ্ছে বলে বিরক্ত তিনি। রাগে-হতাশায় আত্মঘাতী হওয়ার হুমকিও দিয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: বিস্ফোরক মজুতের অভিযোগ, বীরভূমে NIA’র জালে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি]
করুণ অবস্থা অঞ্জুর ভাই এবং স্বামীরও। দু’টি আলাদা বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন তাঁর ভাই ডেভিড থমাস এবং স্বামী অরবিন্দ মীনা। শোনা গিয়েছে, সম্প্রতি তাঁরাও নিজেদের চাকরি হারিয়েছেন অঞ্জুর ‘কীর্তি’র জন্য়। ডেভিডকে কর্মক্ষেত্র থেকে বহিষ্কৃত করা হয়েছে। আর অরবিন্দকে বলা হয়েছে, যতদিন না পর্যন্ত জানা অফিসে আসতে বলা হচ্ছে, ততদিন যেন তিনি বাড়িতেই থাকেন। তবে এই সময় তিনি অফিসের তরফে বেতন পাবেন কি না, তা জানা যায়নি। সব মিলিয়ে বেশ সমস্যার মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছে অঞ্জুর পরিবার।
উল্লেখ্য, মেয়েকে নিয়ে বিতশ্রদ্ধ বাবা ক’দিন আগেই বলে দিয়েছিলেন, “আমাদের কাছে ও মৃত।” অঞ্জুর বিষয়ে আর কোনও খোঁজখবর নিতেও আগ্রহী হন তিনি বলে জানিয়েছিলেন। তাঁর এহেন কাণ্ডের জন্য অপমান আর হতাশা ছাড়া কিছুই জুটছে না গয়া প্রসাদের।